কুমিল্লায় পূর্ব বিরোধের জেরে হত্যা করা হয় মিমকে
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মাদরাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
রোববার (২৩ মে) দুপুরে কুমিল্লা জ্যেষ্ঠ আমলী-২ আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানার আদালতে আসামিদের হাজির করলে হত্যার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে তারা জবানবন্দি দেন। এরপর তাদের কুমিল্লা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এরআগে শনিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় বুড়িচংয়ের ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদরাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু মিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদরাসার দফতরি একই এলাকার আবদুল মবিনের ছেলে মো. কাইয়ূম (১৬) ও পার্শ্ববর্তী উচ্চ বিদ্যায়ের ঝাড়ুদার ময়নাল হোসেনকে (৩২) আটক করে।
দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বলেন, আদালতে আসামিরা জানান, ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদরাসার দফতরি কাইয়ূমের সঙ্গে মিমের পরিবারের বিরোধ ছিল। এ বিরোধের জেরেও কাইয়ূম ঝাড়ুদার ময়নাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মাদরাসার একটি কক্ষে শিশুটিকে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন তারা।
দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিশুটিকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কি-না তা নির্ণয়ের জন্য আলামত ও ডিএনএ সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুই আসামি হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি-না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) মোবাইল কার্ড কিনতে বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হন ওই এলাকার শরীফ উদ্দিনের মেয়ে মিম আক্তার (৭)। পরদিন শিশুটির চাচা মো. বশির বুড়িচং থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদরাসার দফতরি মো. কাইয়ূম সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি মরদেহ তুলেন। পুলিশ এসময় কাইয়ূমকে আটক করে।