সৌদিআরবের দাম্মামে প্রবাসী গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমিনুল ও ফারজানা আখিঁর তের বছর আগে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়।ফারজানার বাড়ী কল্যানপুর ঢাকা আর আমিনুলের বাড়ী ভোলা বরিশালে। বিয়ের এক বছর পরে ফারজানার স্বামী তাকে ভিসা দিয়ে সৌদিআরবে নিয়ে আসে। তের বছর ধরে ফারজানা তার স্বামীর সংসার করে আসছে।তের বছরে ও তাদের কোনো সন্তান হয়নি। এজন্য তাদের জীবনে কোলাহল লেগেছিল।
গত পাঁচ- ই সেপ্টেম্বর তারা বাংলােদশে ছুটিতে আসে। ফারজান কল্যাণপুর তার বাবার বাড়ী হতে অংশ বাবদ একটি ফ্ল্যাট পান ঐ ফ্ল্যাটটি আমিনুল তার নামে লিখে দিতে ফারজানার উপর চাপ সৃষ্টি করে। এতে রাজী না হওয়াতে ফারজানার উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই নিয়ে ভোলাতে সালিশ ও বসে। সালিশিতে ফারজানাকে কোন রকম নির্যাতন করবে না বলে ফারজানাসহ ভাইদের কাছে অঙ্গিকার করেন আমিনুল।তারপর গত মাসের বিশ তারিখে স্ত্রী ফারজানাকে নিয়ে সৌদিআরবে যাওয়ার কথা ছিল আমিনুলের। কিন্তু স্ত্রীকে না জানিয়ে সে একা সৌদিআরবে চলে আসে। এরপর চলতি মাসের পনেরো তারিখে ফারজানার স্বামী তাকে সৌদিআরবে আসতে বলে। তখন ফারজানা বিমান বাংলােদশ ইয়ারলাইন্সে করে দাম্মামে পৌঁছান। কথা ছিল ফারজানাকে তার স্বামী আমিনুল দাম্মাম এয়ারপোর্ট থেকে তাকে গ্রহন করার কিন্তু সে ফারজানাকে গ্রহন করেনি উল্টো তার হাতে থাকা মুঠোফোনটি বন্ধ করে রাখে। ফারজানা দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করার পর এয়ারপোর্ট এ থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহযোগিতায় দেশে থাকা মা,ভাইদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং আমিনুলের সাথে কোম্পানিতে কাজ করা জাহাঙ্গির আলম স্বপন নামে একজন প্রবাসী বাংলাদেশীর সহযোগিতায় আমিনুলের বাসায় পৌঁছে দেন।
এরপর থেকে ফারজানার উপর অত্যাচার করতে থাকে এবং অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে এবং তাকে প্রচুর মারধর করে। স্বামি বাথরুমে গেলে এই সুযোগে ফারজানা তার মাকে ফোন করে তার উপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানায়। এর পর সৌদিআরবে থাকা তার ভাইয়ের বন্ধু ও পুলিশের সহযোগিতায় ফারজানাকে উদ্ধার করে। এই নিয়ে আজ রাএ নয়টায় আল খোবার থানায় বাংলাদেশ দূতাবাস এর কর্মকর্তাসহ একটি সালিশি বৈঠক হবে।