কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে কে হচ্ছেন বিএনপি প্রার্থী?
নতুন বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী প্রচারণা শুরু করলেও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
২০২২ সালের মার্চ-এপ্রিলের দিকে বর্তমান মেয়রের মেয়াদ শেষ হবে। তাই আলোচনা চলছে আগামী দিনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে।
নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী কৌশলী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকলেও বিএনপি থেকে খুব বেশি প্রার্থী মাঠে নেই।
এদিকে বছরের শেষে এসে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার দায়ে কুমিল্লা সিটির দুইবারের নির্বাচিত মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পদ থেকে অব্যাহিত দেয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমন সিদ্ধান্তের পরে নড়েচড়ে বসেছে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি। কে হচ্ছেন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের বিএনপি প্রার্থী, তা নিয়ে আলোচনা চলছে নগরজুড়ে। মেয়র মনিরুল হক সাক্কু সমর্থিত নেতা-কর্মীদের দাবি, তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, দল থেকে নয়। তাই তিনি সিটি নির্বাচন করবেন।
বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা সিটি মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘৪০ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করি। আমারে পদ থাইক্কা অব্যাহতি দিছে, দল থাইক্কা না। আমি নির্বাচন করমু।’
দল না চাইলেও কি নির্বাচন করবেন- এমন প্রশ্নে মেয়র সাক্কু বলেন, ‘সেটা সময় আসলে বলমু।’
এদিকে আলোচনায় রয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য কাউসার জামান বাপ্পি। বেশ কয়েক বছর ধরে সামাজিক কর্মকাণ্ডে তিনি বেশ সরব। কাউসার জামান বাপ্পি বলেন, ‘দল নির্বাচনে গেলে আমি দলের কাছে নমিনেশন চাইব।’
দল মনোনয়ন না দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন কি না- এমন প্রশ্নে বাপ্পি বলেন, ‘আমি দল করি, দলের বাইরে যাব না।’
বাপ্পি নিজের গ্রহণযোগ্যতার কথা উল্লেখ করে জানান, তার বাবা আলহাজ নুরুল হক কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তার বাবার নামে একটি ফাউন্ডেশন আছে। সেখান থেকে নগরীর অসহায় মানুষকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। তিনি নিজেও দলের নিবেদিত কর্মী। তার মাঠ গোছানো রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে আগামী সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী। তিনি নির্বাচন করলে তা হতে পারে নতুন চমক।
মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি নির্বাচন করব অথবা আমাদের কোনো পছন্দের প্রার্থী দেব। তবে নির্বাচন হয় কি না তা দেখার বিষয়।’
সিটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী নিয়ে কথা বলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আমিনুর রশিদ ইয়াছিন।
ইয়াছিন বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। যদি দল নির্বাচনে আসে সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক পদক্ষেপ নেব।’
দল নির্বাচনে এলে কে প্রার্থী হবেন- এমন প্রশ্নে হাজি ইয়াছিন বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে একাধিক প্রার্থী থাকবে। জেলা ও কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করে একজন প্রার্থী দেব।’