কুমিল্লা-খুলনা ম্যাচে ঘটল ইতিহাসে বিরল ঘটনা
ডেস্ক রিপোর্টঃ বিপিএলের ৩২তম ম্যাচে খুলনা টাইটান্সেরর বিপক্ষে ৯ উইকেটে জয় তুলে নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ১২ বাউন্ডারিতে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি।এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে চলে এল দলটি।
আজকের ম্যাচটিতে কুমিল্লা ৩৭ বল বাকি থাকতে জয় পেলেও দুই দল একটি রেকর্ডে নিজেদেরকে জড়িয়ে নিয়েছে। লো স্কোরিং ম্যাচে দুই দল ৩২টি চার মারলেও কোনো খেলোয়াড় একটি ছক্কা হাঁকাতে পারেননি, যা বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম এবং একেবারে বিরল ঘটনা।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচটিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে খুলনা। প্রথম ওভারেই দলীয় ১ রানের মাথায় ওপেনার রাইলি রুশোকে হারায় দলটি। তারপর শোয়েব মালিকের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ৮ রানে ফিরেন নাজমুল হোসেন।এরপর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও আফিফ হোসেন দলের বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২৮ রানের মাথায় ফের উইকেট তুলে খুলনাকে বিপদে ফেলেন।নিকোলাস পূরাণ কোনো রান না করেই শোয়েব মালিকের বলে লিটন দাসের স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে আউট হয়েছেন।
এর আগে আজ মঙ্গলবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১১১ রানে অল-আউট হয়ে যায় খুলনা টাইটানস। শুরু থেকেই যে মহাবিপর্যয়ে পড়েছিল মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের দল, অদ্ভুতভাবে সেটা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। দলীয় ১ রানেই রুশোকে (০) ডোয়াইন ব্র্যাভোর ক্যাচে পরিণত করেন মেহেদী হাসান। দলীয় ৮ রানে অপর ওপেনার নাজমুল হোসাইন শান্তকে (৮) বোল্ড করে দেন শোয়েব মালিক। আফিফ হোসেন আর অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ মিলে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু খুলনার ভাগ্যাকাশে আজ যেন দুর্যোগের ঘনঘটা!
দলীয় ২৮ রানে গত ম্যাচে দারুণ ব্যাট করা আফিফকে শোয়েব মালিকের বলে তালুবন্দী করেন কুমিল্লা অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নিকোলাস পুরান (০) যথারীতি ব্যর্থ। অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহও বড় রান করতে পারেননি। সাইফ উদ্দিনের বলে তুলে মারতে গিয়ে হাসান আলীর হাতে ধরা পড়েন ১৪ রানে। ৪০ রানে ৫ উইকেটে হারানোর পর লড়াই করতে থাকেন চলতি বিপিএলের ‘হিরো’ আরিফুল হক এবং ব্র্যাথওয়েট। কিন্তু এতে কাজ হয়নি।
ধস নামে খুলনার ব্যাটিং লাইনআপে। ১৪ বলে ১৩ রানের স্বভাববিরুদ্ধ ইনিংস খেলে আল-আমিন হোসেনের বলে বাটলারের তালুবন্দি হন ব্র্যাথওয়েট। ৬১ রানে ৬ উইকেট নেই খুলনার। আর্চারকে (৫) ফিরিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় শিকার ধরেন আল-আমিন। ২৪ বলে ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৪ রান করে আল-আমিনের তৃতীয় শিকার হন আরিফুল হক। অ্যাবোট-শফিউলের দাপটে শেষ পর্যন্ত একশ ছাড়ায় খুলনার স্কোর। ৩টি করে উইকেট নেন শোয়েব মালিক এবং আল-আমিন হোসেন।