রিফাত নয়, এমপি বাহারকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন সাক্কু
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন না স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল ইসলাম সাক্কু। স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন বলে জানিয়েছেন সাক্কু।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের নানুয়া দিঘির পাড়ের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে শেষ দিনের প্রচারণার শুরুতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সাক্কু বলেন, রিফাত তো এমপির নমিনি। সে তো কিছু না। সব করছেন স্থানীয় এমপি। আমি এমপি বাহারকেই প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছি।
আগামী বুধবার কুমিল্লা সিটি করপোরশন নির্বাচন হবে। কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের এটাই প্রথম নির্বাচন। ইতোমধ্যে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থীরা তুলছেন নানা অভিযোগ।
মাঝে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেন নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন স্থানীয় সরকারদলীয় সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি নিয়মের বাইরে গিয়ে এলাকায় অবস্থান করছেন। অভিযোগের পর গত বুধবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগে কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি বাহারকে তার নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পাঁচ দিন পরও এলাকা ছাড়েননি ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্য।
সোমবার শেষ দিনের প্রচারণার শুরুতে সাক্কু সুষ্ঠু নির্বাচনে শঙ্কা ও ভোটারদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বাহারের বিরুদ্ধে।
এমপি বাহার নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন জানিয়ে সাক্কু বলেন, উনি ওনার সবটা দিয়ে চেষ্টা করছেন। উনার দেয়ার মতো আর কিছু নাই৷ উনার ক্ষমতা কতটুকু আমি জানি। যত কৌশল যত বাধা আসুক সবকিছু পেরিয়ে আমি এগিয়ে যাচ্ছি।
কীভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন জানতে চাইলে সাক্কু বলেন, শহরে মুচিদের একটি কমিটি আছে, উনি ওদেরও ডেকে হুমকি দিয়েছেন। সেলুন কমিটি, হিজড়া সংগঠন ও মেথর কমিটির লোকদেরও ডেকে নিয়েছেন। ওরা এসে আমার কাছে বলছে। শিক্ষক, ডাক্তার, আইনজীবী, ব্যবসায়ী কেউ বাদ যায়নি তার হুমকি থেকে। সবাইকে নৌকার প্রচারণায় বাধ্য করেছেন।
এর আগে সকাল ১০টায় রাণী দিঘিরপাড় নির্বাচনী অফিসে সাক্কুর বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তোলেন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত।
রিফাতের অভিযোগের জবাবে সাক্কু বলেন,আমি প্রমাণ ছাড়া কথা বিশ্বাস করি না। টাকা দিলে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা আছে তারা তো দেখবে। আমি মানুষকে অন্য সময় টাকা দিয়ে সহায়তা করি। কিন্তু কখনোই ভোট কেনার জন্য টাকা দেই না।
দুই দিন পর আগামী পরশু (১৫ জুন) অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন।