কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী আটক
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে উম্মে সালমা আক্তার শিলা (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী শামীম হোসেন সোহাগকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধু উপজেলার খিলা ইউপির খিলা বড় বাড়ির মৃত আবদুল ওহাবের ছেলে শামীম হোসেন সোহাগের স্ত্রী এবং পাশ্ববর্তী চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মৃত আবুল হাশেম খন্দকারের মেয়ে।
শিলার পরিবারের অভিযোগ, যৌতুক না পেয়ে স্বামীর নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে সোহাগের পরিবারের দাবি, গৃহবধূ শিলা আত্মহত্যা করেছেন।
মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে রবিবার (৯ অক্টোবর) রাতে নিহতের মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে শিলার স্বামী শামীম হোসেন সোহাগ ও দেবর নজরুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মমতাজ বেগম জানান, ছয় বছর আগে সোহাগের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সোহাগ শিলাকে নানাভাবে নির্যাতন করতো।
তিনি আরো জানান, বিয়ের কয়েক মাস পর তারা জানতে পারেন, সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মামলা নিষ্পত্তির জন্য সে তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় শিলাকে গলা টিপে হত্যা করবে বলেও হুমকি দেন।
তিনি দাবি করেন, শনিবার দিবাগত রাতে ওইসব বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে সোহাগ ও সুজন তার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন।
এদিকে শিলার দেবর অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘নানা বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে সোহাগ ভাইয়ের ওপর অভিমান করে সালমা ভাবি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ‘
মনোহরগঞ্জ থানার ওসি সফিউল আলম জানান, গৃহবধূর মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যার অভিযোগ করেন। গৃহবধূর স্বামী শামীম হোসেন সোহাগকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।