হ্যাটট্রিক হার চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার!
চলতি বিপিএলে এবারের আসরের শুরুটা মোটেও ভালো হলো না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। পরপর তিন ম্যাচেই হেরেছে তারা। আজ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১২ রানে হেরেছে কুমিল্লা। চট্টগ্রামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ছয় রান করে তানভীর ইসলামের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর ইনিংস শুরুটা ভালো করলেও বড় করতে পারেননি এনামুল হক বিজয় এবং চতুরঙ্গ ডি সিলভা। ২০ রান করে এনামুল হক বিজয় এবং ২১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা।
এরপর চতুর্থ উইকেট ডিউটিতে ৩৮ বলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ করে তোলেন সাকিব আল হাসান এবং ইব্রাহিম জাদরান। ২০ বলে ২৭ রান করে তানভির ইসলামের বলে প্যাভিলিয়নে ইব্রাহিম জাদরান। তবে অন্য প্রান্ত থেকে ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর আরও বিধ্বংসী রূপে খেলতে থাকেন সাকিব আল হাসান।
৪৫ বলে ৮টি চার এবং চারটি ছক্কার সাহায্যে ৮০ রান করেন সাকিব আল হাসান। ৩৩ রানের চারটি উইকেট নিয়েছেন তানভীর ইসলাম। এছাড়াও একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান এবং খোশদিল সাহ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রেজওয়ান এবং লিটন দাস। তবে ওপেনিং ছাড়াও মিডিল অর্ডারের কোন ব্যাটসম্যান ইনিংসে বড় করতে পারেনি।
ওপেনিং জুটিতে দুইজন মিলে গড়ে তুলেছিলেন ৪২ রানের পার্টনারশিপ। ১১ বলে দুটি ছক্কার সাহায্যে ১৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেলেন মোহাম্মদ রেজওয়ান। তবে দুর্দান্ত খেলতে থাকা লিটন দাস প্যাভিলিয়নে ফেলেন রান আউট হয়ে। ২৬ বলে একটি চার এবং তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৩২ রান করেছিলেন তিনি। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছিলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তবে তিনিও ইনিংসে বড় করতে পারেননি। ১৫ বলে তিনটি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেলেন তিনি।
এরপর চ্যাডউইক ওয়ালটন ১৪ এবং শূন্য রানের প্যাভিলিয়নে ফেরেন জাকির আলী। তবে এরপর মোসাদ্দেক হোসেন এবং খুশদিল শাহর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ৩৩ বলে ৫৪ রান। ১৯ বলে দুটি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ২৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেন।