হারের বৃত্ত ভাঙতে চায় কুমিল্লা!
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম তিন ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে তারা। হারের বৃত্ত থেকে বের হবার লক্ষ্য নিয়েই আগামীকাল নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হচ্ছে কুমিল্লা। অন্য দিকে কুমিল্লাকে হারিয়ে আসরে তৃতীয় জয়ে চোখ চট্টগ্রামের। ৪ খেলায় ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট আছে বন্দর নগরীর দলটির।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের লড়াই।
হট ফেভারিট হিসেবেই এবারের আসর শুরু করে কুমিল্লা। কিন্তু এ পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি।
ঢাকা পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের কাছে ৩৪ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হারে কুমিল্লা।
দু’টি হার নিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করে কুমিল্লা। চট্টগ্রামের মাটিতে সাফল্যের স্বাদ নিতে মরিয়া ছিলো তারা। কিন্তু এখানেও ভাগ্য বদলায়নি কুমিল্লার। সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুন্যে ফরচুন বরিশালের কাছে ১২ রানে ম্যাচে হারে কুমিল্লা।
কুমিল্লার হয়ে ব্যাট বা বল হাতে কেউই ভালো পারফরমেন্স করতে পারছে না। ব্যাটিংয়ে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান আছে জাকের আলির। ৩ ইনিংসে ৭৫ রান করেছেন তিনি। ৩ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৫ রান অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের।
বল হাতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার তানভীর ইসলাম ও পাকিস্তানের খুশদিল শাহ।
অন্য দিকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে ৮ উইকেটে হেরে এবারের আসর শুরু করে চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় ম্যাচেই খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয়। ম্যাচে দু’টি সেঞ্চুরি হয়। পাকিস্তানের আজম খানের অপরাজিত ১০৯ রানের সুবাদে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান করে খুলনা। জবাবে আরেক পাকিস্তানী উসমান খানের অনবদ্য ১০৩ রানের সুবাদে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।
ঢাকা প্রথম পর্বে দুই ম্যাচে ১টি করে জয়-হার নিয়ে নিজেদের মাঠে খেলতে নামে চট্টগ্রাম। বন্দর নগরীতে প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের কাছে ২৬ রানে হেরে যায় স্বাগতিকরা।
তবে গতরাতে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আফিফ হোসেন ও আফগানিস্তানের দারউইশ রাসুলির তান্ডবে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৮ উইকেটে হারায় চট্টগ্রাম।
১৫৯ রানের টার্গেটে তৃতীয় উইকেটে ৬৩ বলে অবিচ্ছিন্ন ১০৩ রানের জুটি গড়ে চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত করেন আফিফ-রাসুলি। আফিফ ৫২ বলে ৬৯ ও রাসুলি ৩৩ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন।