হ্যাট্টিক জয়ে চোখ কুমিল্লার

হ্যাট্টিক হারের পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরে টানা দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এবারের হ্যাট্টিক জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সের মুখোমুখি হচ্ছে কুমিল্লা। পক্ষান্তরে, হ্যাট্টিক হারের স্বাদ পাওয়া ঢাকা দ্বিতীয় জয় পেতে মরিয়া।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগামীকাল দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে কুমিল্লা ও ঢাকার লড়াই।
এবারের আসরে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই হারে কুমিল্লা। ঢাকা পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের কাছে ৩৪ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হারে কুমিল্লা।

চট্টগ্রামের মাটিতেও শুরুটা ভালো করতে পারেনি কুমিল্লা। সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুন্যে ফরচুন বরিশালের কাছে ১২ রানে ম্যাচে হারে কুমিল্লা। হ্যাট্টিক হারে কোনঠাসা হয়ে পড়ে কুমিল্লা।

অবশেষে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে এবারের আসরে প্রথম জয়ের দেখা পায় কুমিল্লা। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারায় তারা।এরপর পঞ্চম ম্যাচে ওদুর্দান্ত এক জয় তুলে নেয় ইমরুল-লিটনদের কুমিল্লা।

গতরাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সকে এবারের আসরে প্রথম হারের স্বাদ দেয় কুমিল্লা। ৫ উইকেটে জয় পায় কুমিল্লা। অর্থাৎ নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচ জয়ের পর নিজেদের ষষ্ঠ খেলায় পরাজিতত হয় সিলেট।

৪২ বলে ৭০ রানের দর্শনীয় ইনিংস খেলে সিলেটের বিপক্ষে জয়ে বড় অবদান রেখেছেন ওপেনার লিটন দাসের। এবারের আসরে এটিই ছিলো লিটনের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি। কুমিল্লার হয়ে এবারে আসরে এখন পর্যন্ত ৫ ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৬০ রান করেছেন লিটন। বোলিংয়ে সেরা পারফরমার স্পিনার তানভীর ইসলাম। ৩ ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

সিলেটের বিপক্ষে জয়ের পর কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল বলেন, ‘প্রথম তিন ম্যাচে আমরা ভাল করতে পারিনি। এরপর আমরা অনেক আলোচনা করেছি, নিজেদের পরিকল্পনাগুলো মাঠে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। আশা করি, পরের ম্যাচগুলোতেও ভালো করতে পারবো।’
এ দিকে অধিনায়ক নাসির হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুন্যে জয় দিয়ে এবারের বিপিএল শুরু করেছিলো ঢাকা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছিলো ঢাকা।

কিন্তু এরপরই পথ হারায় ঢাকা। পরের তিন ম্যাচেই হারে তারা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে ৬২ রানে ও ৫ উইকেটে এবং চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৮ উইকেটে পরাজিত হয় ঢাকা। ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাটিতে সমান ২টি করে ম্যাচ হারে তারা।

যে কারণেই হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে মরিয়া ঢাকা। দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেতে হলে ব্যাটিং বিভাগে জ¦লে উঠতে হবে নাসির-সৌম্য-মিথুনদের। বোলিংয়ে দারুন ছন্দে আছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। কিন্তু খুব বেশি উইকেট নিতে পারেননি তিনি। ৪ ইনিংসে ১৫ দশমিক ৪ ওভার বল করে ৮৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। তার ইকোনমি রেট ৫ দশমিক ৪৮।

আরো পড়ুন