কুমিল্লার রেকর্ড গড়া জয়
শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। সেই হিসেবে সিলেটের দর্শকরা নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে যে দর্শকরা রীতিমতো রান পাহাড়ের উৎসব দেখতে পেরেছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং খুলনা টাইগার্সের মধ্যকার ম্যাচে দুইশর বেশি স্কোর উঠেছে।
দুইশর বেশী রান করেও খুলনাকে হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন শেষ ম্যাচে কুমিল্লার বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে খুলনা। যেখানে তামিম ইকবাল এবং শেই হোপের দানবীয় ব্যাটিংয়ের কল্যাণে ২ উইকেট হারিয়ে খুলনা ২১০ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করিয়েছে।
এবারের আসরে দলে তারকা ঠাসা ব্যাটিং লাইন আপ থাকলেও রানের দেখা পাচ্ছিল না খুলনা টাইগার্স। তামিম ইকবাল, শেই হোপ, আজম খানরা ব্যর্থ হয়েছেন বারংবার। যদিও আজম খান এবারের আসরে একটি শতক পেয়েছিলেন তবে এছাড়া তেমন কোনো বলার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি।
অবশেষে অধিনায়ক বদলে রানের টর্নেডো বইয়ে দিলো দলটি। কুমিল্লার বিপক্ষে এবারের আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১০ রান তুলেছে খুলনার ব্যাটসম্যানরা। যেখানে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব নতুন অধিনায়ক শেই হোপ এবং তামিম ইকবালের। দুইজনই নার্ভাস নাইন্টিজে থেকে শতকের আক্ষেপে পুড়েছেন।
কিন্তু এই দুইজনের ব্যাটে ভর করে বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে খুলনা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে হোপ এবং তামিম যোগ করেছেন ১৮৪ রান। যা জুটির দিক থেকে এবারের আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ফরচুন বরিশালের ইফতিখার এবং সাকিব ১৯২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন। সে ম্যাচে বরিশাল এবারের আসরের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ২৩৮ রান করেছিল।
কুমিল্লার বিপক্ষে আজ হোপ এবং তামিমের ১৮৪ রানের জুটি ভাঙে তামিমের বিদায়ে। এই ক্রিকেটার ৬১ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছয়ে ৯৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন। এরমধ্যে অবশ্য দুইবার জীবনও পেয়েছেন এই ক্রিকেটার।
তামিমের এমন ইনিংসের সময় অন্যপ্রান্তে ঝড় তুলেছেন অধিনায়ক হোপও। তিনি করেছেন ৫৫ বলে ৫টি চার ও ৭টি ছয়ে ৯১ রান। তিনি অবশ্য অপরাজিত থাকলেও শতক পূর্ণ করতে পারেননি। শেষদিকে মাঠে নেমে আজম খান ৪ বল থেকে ১১ রান করেন। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় করেন মাত্র ১ রান।