কুমিল্লার টানা সপ্তম জয়
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের হয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথমে ধাক্কা খেলেও উসমান খান আর আফিফ হোসেনের হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৬ রানের মাথাতেই মেহেদি মারুফ আর খাজা নাফেকে হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন উসমান খান আর আফিফ হোসেন। দুজন মিলে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। ৪১ বলে ৫২ রান করে আউট সাজঘরে ফেরেন উসমান।
আফিফ হোসেনও ফিরে যান ৪৯ বলে ৬৬ রান করে। শেষ দিকে দারউইশ রাসুলির ৯ বলে ২১ রানের ক্যামিওয়ে দেড়শ রানের কৌটা ছাড়ায় চট্টগ্রামের রান।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। কুমিল্লার হয়ে দুইটি করে উইকেট নেনে তানভির ইসলাম ও হাসান আলি।
১৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি কুমিল্লা। দলীয় ২০ রানে ১০ বলে ১৫ রান করে আউট হন সৈকত আলি। এরপর ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
দলীয় ৪২ রানে ১১ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ইমরুল। এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জনসন চার্লস। দলীয় ৫৭ রানে ১২ বলে ৯ রান করে ফিরে যান জনসন চার্লস।
এক প্রান্তে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তের উইকেট আগলে রাখেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। সাবলীল ব্যাটিংয়ে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন এই ওপেনার। আর রিজওয়ানকে সঙ্গ দিতে থাকেন মোসাদ্দেক সৈকত।
তবে দলীয় ১৩৩ রানে ৪৭ বলে ৬১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত আর কোন উইকেট না হারিয়ে ৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা।
মোসাদ্দেক সৈকত ২৭ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি ও জিয়াউর রহমান নেন ২টি করে উইকেট।