কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল মৃত্যুর আগে বলে যান দুই জনের নাম

কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুরের তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনের হত্যাকারীদের কেউ চার দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি। এতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার। এ দিকে কিলিং মিশন শেষ করার পর দুর্বৃত্তরা কোন পথে বাজার ছেড়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। বাজার থেকে অর্ধশতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হলেও সেখানে ঘাতকদের পালিয়ে যাওয়ার ফুটেজ নেই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

র‍্যাব ও পুলিশের ধারণা, ঘাতকরা আগে থেকেই হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপদে পালিয়ে যাওয়ার পথ ঠিক করে রেখেছিল। পুলিশ জানায়, গত রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে বোরকা পরা তিন দুর্বৃত্ত যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। পরে ঘটনাস্থল ও বাজার থেকে অনেক সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এসব ফুটেজ এখন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বিশ্লেষণ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এসব সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। ঘাতকদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে পুলিশ, পিবিআই, র‍্যাব, ডিবি, সিআইডিসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

হত্যার ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে ওই যুবলীগ নেতার স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে সুজন, আরিফ, ইসমাঈল, সোহেল শিকদার, বাদল, শাকিল, শাহ আলম, অলি হাসান ও কালা মনিরকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও আটজনকে আসামি করা হয়েছে।

জামালের বোন ও তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের মহিলা সদস্য রিপা আক্তার বলেন, মামলার আসামিরা ছাড়াও এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে আরও লোকজন জড়িত। আমরা চাই প্রকৃত খুনি ও নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক। কিন্তু একজন আসামিও গ্রেপ্তার হলো না।

জামালের শ্যালিকা সুপা আক্তার বলেন, যেখানে জামাল ভাই খুন হন, তার দোতলায় আমাদের বাসা। গুলির শব্দ শুনে আমি বাসা থেকে নেমে তাঁকে হাসপাতালে নিতে রওয়ানা হই, তখনও তাঁর জ্ঞান ছিল। মৃত্যুর আগে তিনি সুজন ও আরিফের নাম বলে যেতে পারেন। ঘাতকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় আরিফের নেকাব খুলে যায়। এ ছাড়া আগে থেকেই ঘটনাস্থলে ছিলেন ৩ নম্বর আসামি ইসমাঈল।

মামলার সাক্ষী জিয়ারকান্দি গ্রামের মো. জাহিদ ও মো. সুমন বলেন, জামালের বুকের মাঝে ও পেটের বাঁ পাশে গুলি করার পর আসামিরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা বলেন, পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

সূত্রঃ সমকাল

আরো পড়ুন