স্ত্রীকে হত্যার পর লাশের পাশেই বসেছিলেন স্বামী
কুমিল্লার তিতাসে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর পাইপরেন্সের আঘাতে প্রাণ গেলো গৃহবধূর। স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যার পর লাশের পাশেই বসে ছিলো পাষণ্ড স্বামী।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আঁখি আক্তার (২১)ওই গ্রামের হাবিবুর রহমান হবি সরকারের মেয়ে।
স্বামী সাইফুল ইসলাম মিন্টু একই গ্রামের সরকার বাড়ির আব্দুল হাকিমের ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত স্বামী মিন্টুকে আটক করে।
জানা যায়, প্রায় সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ-বিবাধ চলে আসছিলো। এর আগেও ভিকটিমকে পিটিয়ে মুখের নিচের পাটির কয়েকটি দাঁত ফেলে দেয় ঘাতক স্বামী। সর্বশেষ গত ১৫ দিন আগেও এ নিয়ে সামাজিকভাবে মীমাংসা করে সংসার করার জন্য মিলিয়ে দিয়ে যায় এবং মিন্টুর কোনো রকম কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে ১ লাখ টাকা দেয়া হবে। এই টাকা নিয়েই বৃহস্পতিবার ভোরে বাক বিতণ্ডা থেকে লোহার পাইপরেন্স দিয়ে মাথায়, গালে, কানে চোখের ওপরে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে লাশের পাশেই বসে থাকে স্বামী।
এই দম্পতির তিন বছরের আবরার নামে ১৯ মাসের একটি শিশু পুত্র সন্তান রয়েছে। মায়ের মৃত্যু ও বাবা জেল হাজতে যাওয়ায় নিষ্পাপ শিশুটির ভবিষ্যত নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য এলাকাবাসীর।
তিতাস থানার ওসি কমল কান্তি দাস বলেন, হত্যাটি পারিবারিক কলহের জেরে হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। নিহতের স্বামী পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়ে। নিহতের বড় ভাই শাকিবুল হাসান বাদী হয়ে এজাহার দিয়েছেন।