কুমিল্লায় বাসের চাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত, আহত ১৫
কুমিল্লা দাউদকান্দি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৫ জন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার জিংলাতলী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া গ্রামের রেনু মিয়া সরকারের স্ত্রী ফজিলাতুন নেছা (৬৯), তাঁর ছেলে আহাদ মিয়ার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (২১) এবং তাঁদের স্বজন পেন্নাই গ্রামের আবদুল জলিলের স্ত্রী রুসিয়া বেগম (৭০)।
দুর্ঘটনায় অটোরিকশার একজন যাত্রীসহ আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নিহত ফজিলাতুন নেছার ছেলে আহাদ মিয়াকে (৩০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং নোয়াখালী সদর উপজেলার ফারাবী (১৮), ইফরান (১৪), রবিন মিয়া (২৫), রাশেদ (৩২), নুরুল হক (৩০), আবদুল মতিন (৪২), নুরুদ্দিন (৩১), হামিদুল হক (৪১) এবং ফেনী সদরের আরাফাত হোসেন (২৫) ও চৌদ্দগ্রামের রকিব উদ্দিনকে (৩০) দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, নিহত তিনজনসহ চারজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতলী গ্রামে স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথে জিংলাতলী গোডাউন এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নোয়াখালীগামী একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন দিক থেকে অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে অটোরিকশার তিন যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং অটোরিকশার এক যাত্রীসহ ১৫ জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সেজুতি দে , নিহত ব্যক্তিদের লাশ দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার পুলিশ নিয়ে গেছে। আহত আহাদ মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহসীন হোসেন বলেন, নিহত ব্যক্তিদের লাশ দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার পুলিশের হেফাজতে আছে। দুর্ঘটনা–কবলিত বাসটি ঘটনাস্থলে আছে। বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।