ভোটে জিতেই সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি বন্ধ করলেন এমপি জাহাঙ্গীর
কুমিল্লার মুরাদনগরে সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি বন্ধ করে দিলেন স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকার। নির্বাচনের পরদিনই তিনি ঘোষণা দিয়ে উপজেলার শতাধিক সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা (জিপি) আদায় বন্ধ করে দেন। এতে ওই উপজেলার ক্ষুদ্র যানবাহন চালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
ভোটে নির্বাচিত হয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদা আদায় বন্ধ ঘোষণা করেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকার। নির্বাচনের পর দিনই সব সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা আদায় বন্ধ করতে উপজেলার মুরাদনগর এবং বাঙ্গরাবাজার থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
এদিকে নবনির্বাচিত এই সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে উপজেলার সব সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে- এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, বিগত ১০ বছর যাবত সংসদ সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলা সদরের ৫টি, কোম্পানীগঞ্জের ১০টি, রামচন্দ্রপুরের ৫টি, ইলিয়টগঞ্জের ২টি, বাখরাবাদের ৪টি, নহল চৌমুহনীর ৪টি, কৃষ্ণপুর বাজারের ৫টি, শ্রীকাইলের ৪টি, বাঙ্গরাবাজারের ৫টিসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হতো। এসব চাঁদাবাজির কারণে অনেকটাই অতিষ্ঠ ছিল খেটেখাওয়া ক্ষুদ্র যানবাহনের চালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। ফলে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে রায় দেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, গরিব অসহায় মানুষের কাছ থেকে যারা চাঁদা নিয়েছে তারা এ নির্বাচনে সঠিক জবাব পেয়েছে। আমি এসেছি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে। কোনো সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি চলবে না। মানুষ স্বস্তিতে থাকবে, ব্যবসা বাণিজ্য করবে, স্বাভাবিক জীবনযাপন করবে। সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বন্ধ করে সমৃদ্ধ মুরাদনগর গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করব।