অশ্লীল ছবি দেখিয়ে অর্থ হাতানোর অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থীর অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীর স্বজনরা। অবশেষে আদালতের শরণাপন্ন হয় ভিকটিমের পরিবার।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শামীম রানা (৩৫) বক্তারপুরের ফুলদি এলাকার হাবিবুর রহমান হাবুর ছেলে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শামীম রানা অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করে বলেন, পৈতৃক জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সামাজিকভাবে আমাকে ছোট করা হচ্ছে।
পরিবারের ভাষ্যমতে, অভিযুক্ত শামীম গং দীর্ঘদিন যাবত আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত্রুতা করে ক্ষতি করার পাঁয়তারা করে আসছিল। ১০ জানুয়ারিতে আমার মেয়ের কলেজের অনুষ্ঠানে তার সহপাঠীদের সঙ্গে কিছু ছবি উঠায়। পরে ওই ছবি অভিযুক্ত (ছাত্রলীগ নেতা) শামীম রানা অসৎ উদ্দেশ্যে যেকোনো পন্থায় তা সংগ্রহ করে। এরপর সে প্রযুক্তির সহায়তায় আমার মেয়ের ছবির সঙ্গে অন্য ছেলেদের ছবি যুক্ত করে অশ্লীল ছবি তৈরি করে। পরবর্তীতে ওই অশ্লীল ছবি আমার মেয়েকে দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। অন্যথায় ফেসবুকে ওই ছবি আপলোড করে ভাইরাল করে মানসম্মান ক্ষুণ্ণ করার হুমকি দেয়।
এতে ভয় পেয়ে আমার মেয়ে ঘরের আলমিরার ড্রয়ার থেকে কাউকে কিছু না বলে নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে শামীম রানাকে দেয়। এরপরও একই ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন কৌশলে কয়েক দফায় মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় শামীম রানা।
সর্বশেষ গত ১৬ নভেম্বর সকালে আমার মেয়ের কাছে আরও ১ লাখ টাকা দাবি করে শামীম। এরপর আমার মেয়ে ঘরের আলমিরাতে রাখা দুই লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা নিয়ে শামীমকে দেয়। পরে আলমিরাতে এক লাখ টাকা না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে সে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। এ বিষয়ে শামীমের পরিবারের কাছে জানতে চাইলে তারা সবাই মিলে উল্টো আমাকেসহ পরিবারের সবাইকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভিকটিমের বাবা।
তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এসআই ইব্রাহিম বলেন-অভিযোগের সত্যতা পাইনি। তবে থানায় অভিযোগ দেওয়ার আগেই আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন।