কুমিল্লায় দুই শিশু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় মাত্র ১০০ টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই সহোদরকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে শেখ ফরিদ নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক নূর নাহার বেগম শিউলী এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ ফরিদ (২৮) জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসিয়ারা গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে।
আদালত ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বিজয়পুর গ্রামের রাজার মা‘র দীঘির পাহারাদার ছিলেন অভিযুক্ত শেখ ফরিদ। নিহত দুই সহোদরের বাবা ছেরু মিয়ার সঙ্গে শেখ ফরিদ পুকুরের পাহারাদারের কাজ করতেন। শেখ ফরিদের পকেট থেকে ১০০ টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিগত ২০০৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাতঘরিয়া গ্রামের ছেরু মিয়ার দুই শিশু সন্তান মো. জাকির হোসেন (১০) ও আব্দুল করিমকে (১২) ওই গ্রামের মিলাদ মাহ্ফিল থেকে আসামি শেখ ফরিদ ডেকে নিয়ে গলা টিপে ও মুখে কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
পরে বিজয়পুর গ্রামস্থ রাজার মা’র দীঘির দক্ষিণ পাড়ে কবরস্থানে জঙ্গলে মরদেহ লুকিয়ে রাখে। পরে এ ঘটনায় দুই সহোদরের বাবা বাদী হয়ে শেখ ফরিদকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই কাজী আব্দুল শুক্কুর মামলার তদন্ত করে আসামি শেখ ফরিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৮ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসলে রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক নূর নাহার বেগম শিউলী শেখ ফরিদকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বিচারক ওই হত্যা মামলার ২৫ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামি ফরিদ।
রাষ্ট্রপক্ষে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. রাজ্জাকুল ইসলাম খসরু এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট শামীম আরা শিমু মামলাটি পরিচালনা করেন ।