কুমিল্লায় শহর থেকে গ্রামে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব, হাসপাতালে রোগীর চাপ

কুমিল্লায় মারাত্মক আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। শহর থেকে গ্রাম—সবখানেই ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাদাগাদিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডের মেঝে থেকে করিডোর এমনকি বারান্দাতেও চলছে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম জেনারেল হাসপাতালেও।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। শুধু শহর নয়, এবার গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু সংক্রমণ। এবছর এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হলেও, চিকিৎসকরা বলছেন প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
রোগীরা অভিযোগ করছেন, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, জমে থাকা পানি এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্বলতাই মশার প্রজননের মূল কারণ।
রোগীদের স্বজনেরা জানান, থেকে থেকে জ্বর আসছে। পরিবেশের ওপর রোগীর সুস্থতা নির্ভর করে। এখানে পরিবেশ ভালো না। যে পরিমাণে নর্দমা জলাশয় হয়ে আছে সেগুলো পরিষ্কার করা হয় না।
ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে হলে সবচেয়ে বড় বিষয় সচেতনতা। বাসা-বাড়ি পরিষ্কার রাখা, জমে থাকা পানি সরানো আর মশা নিধনে অংশগ্রহণ করাই প্রধান উপায় বলছেন চিকিৎসকরা।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ পরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব। আর গ্রামে সিটি করপোরেশন নেই। সচেতনতার বড় অভাব রয়েছে। পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা ডিম ছাড়ে, তিন দিনের মধ্যে পরিণত হয়ে যায়।’
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার ডা. মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, ‘রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি রাখি। কয়েকদিন আমরা অবজার্ভেশনে রাখি। রোগীরা যদি ইম্প্রুভ করে তাহলে ডিসচার্জ দিয়ে দেই।’
স্থানীয়রা বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করলেও, তা পর্যাপ্ত নয়। যাতে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি মিলছে না নগরবাসীর।
