একুশে পদক পাচ্ছেন কুমিল্লার সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক পাচ্ছেন কুমিল্লার চান্দিনার সন্তান সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ। বর্তমানে তিনি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত।

জাফর ওয়াজেদ চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল ইউপির জোড়পুকুরিয়া গ্রামের অধ্যাপক মো. ইছমত আলী ও মোসাম্মৎ রোকেয়া বেগম দম্পতির সাত সন্তানের মধ্যে ষষ্ঠ সন্তান। বাবার শিক্ষকতা চাকরির সুবাদে নানা বাড়ি দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ মুন্সী বাড়িতে তার জন্ম।

বুধবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০২০ সালের একুশে পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করে। জাফর ওয়াজেদ ছাড়াও আরো ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান এবার একুশে পদক পাচ্ছেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে একুশে পদক তুলে দেবেন বলে জানা গেছে।

সাবেক ছাত্রনেতা জাফর ওয়াজেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতিও ছিলেন।

জাফর ওয়াজেদ সর্বশেষ দৈনিক জনকণ্ঠের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে দৈনিক সংবাদের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলাবাজার পত্রিকা ও দৈনিক মুক্তকণ্ঠের প্রধান প্রতিবেদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

জাফর ওয়াজেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তার স্ত্রী দিলশান আরা লাকি পরিসংখ্যান তদন্ত অফিসার হিসেবে পরিসংখ্যান ব্যুারোতে কর্মরত আছেন। বৈবাহিক জীবনে তিনি ২ কন্যা সন্তানের জনক। বড় মেয়ে আহেলী দিলশান বিইউপি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উত্তীর্ণ হন। ছোট মেয়ে এলমা ওয়াজেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে সম্মান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।

সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ এর ছোট ভাই আহাম্মদ খালেদ জানান, বড় ভাই আমার পিঠেপিঠি তাই খুনসুটি লেগেই থাকতো। এখন অবশ্য সেটা হয়না। সাত ভাইবোন সবাই স্নাতকোত্তর। সে আমলের এমন মা পাওয়া যাবে না যার প্রতিটি সন্তান স্নাতকোত্তর। আমার মা মোসাম্মৎ রোকেয়া বেগমের বয়স ৯৭। পড়াশুনার জন্য বাবার শাসন সোহাগ ছিল চূড়ান্ত।

তিনি আরো বলেন, আজকের একুশে পদকপ্রাপ্ত জাফর ওয়াজেদের এখানে আসার পেছনে বাবার অবদান সবচেয়ে বেশি। বাকিটা আমার মায়ের। বিশ্বাস করি তিনি তার প্রাপ্তি বাবা অধ্যাপক মো. ইছমত আলীর প্রতি উৎসর্গ করবেন।

সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ

আরো পড়ুন