কুমিল্লায় তিন দিনের শৈত্য প্রবাহের ফলে জন জীবন স্থবির

ডেস্ক রিপোর্টঃ গত তিন দিনের শৈত্য প্রবাহের ফলে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জন জীবনে স্হবিরতা বিরাজ করছে। খেটে খাওয়া ও নিম্নবৃত্তের ভোগান্তি বাড়ছে শীতের কারনে। শৈত্য প্রবাহের ফলে ঘন কুয়াশায় শীত তীব্র থেকে শীব্রতর ধারণ করেছে। সূর্য্যের দেখা মেলেনি দুই দিন ধরে। আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায় ঘন কুয়াশা আরও কিছু থাকতে পারে, কুয়াশা কেটে আকাশে সূর্য্যের দেখা মেলবে।

জেলার বিভিন্ন স্হানে দেখা গেছে শীতে মানুষ কাপছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ঠান্ডা জনিত রোগ বাড়ছে আর জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত ১৩ জন শিশু,বয়স্ক লোক ভর্তি হয়েছে ডাইরিয়া আক্রান্ত হয়ে ৮ জন, ঠান্ডা, শাস কষ্ট জনিত রোগে ও ৭-৮ জন রয়েছেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডা. আজগর আহম্মদ জানিয়েছেন শৈত্য প্রবাহের কারণে ঠান্ডা জনিত রোগ আরও বাড়ার লক্ষন রয়েছে। রোগে আক্রান্ত হয়ে লোক জন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তিনি শিশুদের গরম কাপড় চোপড় পড়িয়ে রাখতে হবে। ঠান্ডা জনিত রোগ দেখা দিলে সাথে সাথে হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে আসতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

অন্য দিকে জেকে বসা শীতে গরীব নিম্নবৃত্তরা সহ সব শ্রেণির মানুষ জবুথবু অবস্হা। গরীব অসহায় দরিদ্র মানুষেরা শীতের গরম কাপড়ের অভাব বোধ করছে। গ্রাম গঞ্জের সাধারণ মানুষেরা শীত থেকে পরিত্রাণ পেতে খড় খুটুতে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছে। গরীব অসহায় দরিদ্র সাধারণ তীব্র শীতের কারনে তাদের মাঝে স্হবিরতা বিরাজ করছে। রিকশা চালক পীর যাত্রা পুরের আবদুল হান্নান এবং সিএনজি চালক আরাগ গ্রামের সেলিম হোসেন বলেন ঘরে ৫-৬ জনের সংসার। তীব্র শীতে শরীর ঠান্ডা বরফের মত জমে যাচ্ছে তার পর বাধ্য হয়ে গাড়ি নিয়ে বের হতে হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ এখন শীতের কারনে গরম কাপড়ের অভাব বোধ করছে।

এদিকে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান বলেন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অসহায় দরিদ্র জনসাধারণ শৈত্য প্রবাহের ফলে বিভিন্ন রোগ বালাই এ কষ্ট পাচ্ছে। সে জন্য হাসপাতাল গুলো সার্বক্ষণিক সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য ডাক্তারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিন ১৭০ জন মুক্তি যোদ্ধাদের মাঝে কম্বল বিতরন করা হয়েছে। সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গনের মাধ্যমে শীত বস্ত্র কম্বল গরীব অসহায় দরিদ্র সাধারণের বিতরণের ব্যবস্হা নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন উপজেলার দুটি আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষ এবং বিভিন্ন ভাসমানদের মাঝে আমি নিজ হাতে কম্বল শীত বস্ত্র বিতরন করব ঘুরে ঘুরে।

আরো পড়ুন