কুমিল্লায় মামলা বাদীকে বন্দুক দেখিয়ে হত্যার হুমকীর অভিযোগ

মোঃ জহিরুল হক বাবুঃ কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলার উনাইসার গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক মহিলাকে মারধর করে প্রতিপক্ষ লোকজন। এ ঘটনায় আহত মহিলা কুমিল্লা আদালতে একটি মামলা দায়ের করায় হামলাকারীরা ওই মহিলাকে প্রাননাশের হুমকী-ধমকী দিয়ে আসছে।

জানা যায়, জেলার সদর দক্ষিন উপজেলার উনাইসার গ্রামের হুমায়ূন কবিরের স্ত্রী নাসিমা এর সাথে একই এলাকার মৃত আলী নেওয়াজের ছেলে আবদুর রাজ্জাক ও আবদুর রাজ্জাকের ছেলে শাহ জাহান, শাহ আলম, শাহ পরান, কাউসার, মৃত মুনাফ মিয়ার ছেলে রহিম আলীর দীর্ঘদিন নাসিমার জমি জোর পূর্বক দখলের চেষ্ঠার করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত ২১জুন সকাল ১১ টায় আবদুর রাজ্জাক তাঁর দল-বল নিয়ে নাসিমার বশত ঘরে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদল নাসিমাকে কিল ঘুষি মেরে জখম করে নাসিমাকে হত্যার চেষ্ঠা চালায়।

এসময় সন্ত্রাসী দল নাসিমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, স্বর্ণের বেসলেট, ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীরা নাসিমার কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলনাহানী করে। নাসিমার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী দল চলে যায়। এ ঘটনায় নাসিমা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। আদালম মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই কুমিল্লাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে ২৫ আগষ্ট আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করে। মামলা পর থেকে আসামীরা মামলা বাদী নাসিমাকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকী ধমকী দিতে থাকে। সম্পতি মামলার প্রধান আসামী শাহ জাহান নাসিমাকে বন্দুক দেখিয়ে হত্যার হুমকী দেয়। নাসিমা বলেন, তিনি ফৌজদারি ১৪৫ ধারা মোতাবেক ৩৬৭, ৩৭২ দাগের ভূমিতে দখলে আছেন। বর্তমানে শাহজাহান বাহির থেকে সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে আমার পরিবারকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে। আমার বাড়ীতে থাকা ভাড়াটিয়াদের হুমকী দিচ্ছে অন্যত্র চলে যওয়ার জন্য। আমার দুই ছেলেকে গুম করে ফেলবে বলে হুমকী দিচ্ছে।

আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। শাহজাহান অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এলাকার মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। শাহজাহান ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে এলাকার প্রায় ১৩০টি পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। শাহজাহানের ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলত পারেনা। এ বিষয়ে থানা পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে নাসিমা তাঁর ছেলে সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে।

আরো পড়ুন