কুমিল্লায় রহস্যজনক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ডিআইজি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার সেনানীবাস সংলগ্ন নাজিরা বাজারে কুমিল্লা সিটি কলেজ ছাত্র রিয়াজুলের (১৮) রুমের ভেতরে গভীর রাতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মনিরুজ্জামান চৌধুরী, সদ্য পদন্নোতি প্রাপ্ত এসপি  আলমঙ্গীর হোসেন, এএসপি মোস্তাফিজ চট্টগ্রাম ডিআইজি অফিস, সিনিঃ এএসপি মাহমুদ, এডিশনাল এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সালাম মিয়া, বুড়িচং থানার ওসি মনোজ কুমার দে, সদর থানার ওসি তদন্ত সালাউদ্দিন সহ জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা, র‍্যাব, ডিজি এফ আই ইউ, এএসইউ, সহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটা এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বাড়ির মালিক হাজী আঃ জলিল মিয়া ও তার দুই নাতি রিয়াজুল ইসলাম এবং সোহাগ (১৫) সহ মোট ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এখনো তেমন কিছু জানা যায়নি তবে বোমা বিস্ফোরণের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ডিআইজি মনিরুজ্জামান। আটককৃতদের ভেতরে গুরুতর আহত রফিকুল ইসলামের ছেলে কলেজ ছাত্র রিয়াজুল বর্তমানে কুমেক হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

তবে এ রিপোর্ট লেখার সময় শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে বিপুল পরিমান পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা।

উল্লেখ্য গত বুধবার দিবাগত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে মৃত সোনা মিয়ার জামাতা হাজী আব্দুল জলিল এর তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় বিকট শব্দে বোমা বিষ্ফোরিত হয়। সেনানীবাস এলাকার ৫০গজ এর ভেতরে শক্তিশালী বোমা বিষ্ফোরনে পুরো বিল্ডিং কেপে ওঠে এবং ঘরের দরজা জানালা উড়ে যায়। এতে আতংক ছড়িয়ে পরে পুরো এলাকায়।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পিবিআই ও বোম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হলেও পোড়া কাপড় চোপর এবং গৃহকাজে ব্যবহৃত প্লাষ্টিকের সরঞ্জাম ছাড়া উল্লেখ যোগ্য তেমন কিছু পাওয়া যায় নি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশের এক কর্মকর্তা ।

আরো পড়ুন