কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দি

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা কেন্দ্রিয় কারাগারে কারাবন্দরি ধারণ ক্ষমতা ১ হাজার ৭শ ৪২ জন থাকলেও এখানে র্বতমানে ৩ হাজার ২৯ জন কারাবন্দি আছ। কারাগারের ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ কারাবন্দি হওয়ায় আবাসনসহ অন্যান্য সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে।

সূত্রে জানা যায়, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দুই গুণ বন্দি থাকায় জীবন যাপন করতে বশে কষ্ট হচ্ছ। বিশেষ করে মহিলা হাজতদিরে অল্প জায়গায় অসহনীয় কষ্ট করে থাকতে হচ্ছ। তাছাড়া র্পযাপ্ত শৌচাগার না থাকায় সেখানে তাদরেকে পালাক্রমে শৌচাগার ব্যবহার করতে হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের ফলে বন্দিরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।

সহকারি জেলার সাইমুর উদ্দনি সাথে কথা বলে জানা যায়, কুমিল্লা জেলা কারাগারে র্বতমানে বন্দিদের মধ্যে পুরুষ হাজতি ২ হাজার ৯শ ২জন, মহিলা হাজতি ১শ ২৭ জন ও শিশু হাজতি প্রায় ১৫ জন। বিদেশীদের মধ্যে ভারতীয় ৭জন ও মায়ানমারের ১জন সহ মোট বিদেশী হাজতি ৮ জন। সব মিলিয়ে তিন সহস্রাধিক বন্দীকে অমানবকিভাবে জীবন কাটাতে হচ্ছে।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, অবভিক্ত বাংলায় ত্রিপুরা রাজ্যরে র্অন্তগত র্বতমান কুমিল্ল মহানগরীর ছোটরা মৌজায় প্রায় ৬৭ একর জায়গা নিয়ে ১৭৯২ সালে ১৫ জন কারারক্ষির মাধ্যমে কুমিল্ল জেলা কারাগারের যাত্রা শুরু হয় । পরর্বতীতে ১৯৬২ সালে এটি কেন্দ্রিয় কারাগারে উন্নীত করা হলেও আজ অবধি আধুনিকায়নরে ব্যবস্থা করা হয়ন। অথচ দেশের র্পূবাঞ্চলের (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) ৪টি কেন্দ্রিয় ও ১১টি জেলা কারাগারের মধ্যে ২২৪ বছরের পুরাতন কুমিল্লা কেন্দ্রিয় কারাগার। এ কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৭৪২ জন। র্বতমানে কারাগারে গড়ে প্রায় ৩ সহস্রাধিক হাজতি ও কয়েদি অবস্থান করছে।

এ ব্যাপারে সহকারি জেলার সাইমুর উদ্দিন বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একই স্থানে নতুন কারাগার নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া কথা রয়েছে। আশা করা যায় নতুন কারাগার নির্মিত হলে কারাবন্দিরা সকল সুযোগ-সুবিধার মধ্য দিয়ে তাদের বন্দি জীবন কাটাতে পারবে।

আরো পড়ুন