কুমিল্লা মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ ! নতুন কমিটির দাবি

ডেস্ক রির্পোট ।।
সম্প্রতি গঠিত হওয়া কুমিল্লা মহিলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনের স্বচ্ছতা নিয়ে নেতাকর্মীদের মনে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। নেতাকর্মীদের দাবী এই পকেট কমিটি আর যাই হউক আওয়ামীলীগের জন্য শুভকর নয়। এই কমিটি গঠন করে ত্যাগী নিবেদিত প্রান নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির তালিকায় কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সভাপতির স্বাক্ষর থাকলেও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর না থাকায় কমিটির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর এ কারনেই বিষয়টি এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।

জানা যায় গত ৫ সেপ্টেম্বর ৭৬ সদস্যের কুমিল্লা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। এতে সাইফুন্নাহার মিতা শিকদারকে সভাপতি, আইরিন আহম্মেদকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সাফিয়া খাতুন স্বাক্ষরিত অনুমোদিত হয় একটি কমিটি । কমিটি অনুমোদনে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বাক্ষর থাকলেও এতে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর নেই। ৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সভাপতি দ্বারা স্বাক্ষরিত হলেও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক’কে এই কমিটি অনুমোদনে রাজি করাতে পারে নাই ফলে গত শনিবার বিষয়টি জানাজানি হয়।

বিতর্কিত এই কমিটি জানাজানি হওয়ার পর এ নিয়ে ত্যাগি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। যাদের আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে পাওয়া যায় না, এমন একটি একতরফা নতুন মুখ দিয়ে কমিটি দেয়া হয়েছে বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা দাবি করেন। কেউ কেউ এক তরফা কমিটি বাতিল চেয়ে প্রয়োজনে আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি করেন। নেতাকর্মীদের মতে, যাদেরকে দলীয় কোন কর্মসূচীতে খুঁজে পাওয়া যায় না তারাই এখন দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত, এটা কিছুতেই মানার মত না। কুমিল্লা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দরা মনে করেন কুমিল্লা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ এর গুরুত্বপূর্ণ পদ রাখার মত জন্য আরো অনেক যোগ্যরা ছিলো। এ নিয়ে বিতর্কিত কমিটির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনার সাথে কথা হলে, তিনি জানান,প্রথম গঠনতন্ত্র অনুসারে একজনের স্বাক্ষরে কমিটি হয় কিনা তা নিয়ে দ্বিমত আছে। এছাড়াও সিটি নির্বাচনে দল থেকে মনোনীত হয়ে নির্বাচিত হওয়া মহিলা কাউন্সিলরদের একজনও এই কমিটিতে নেই। বিশেষ করে এই কমিটি নিয়ে আমি অবগত ছিলাম না । আমার সাথে কারো কথাও হয়নি । তাই হয়তো আমার নামটাও ভুলভাবেই লেখা হয়েছে। আমার অজান্তে আমাকে পদ দেয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ । অত্যন্ত খুশী হয়েছি তবে আমার যেহেতু নিজেরই বহু কাজ করার সুযোগ রয়েছে,তাই অন্য কাউকে এ পদ দিয়ে দিলে দলে অন্য একজন নেতৃত্বে আসার সুযোগ পাবে। মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের এই পদে অন্য কাউকে কো-অপট করে নিলে আমি খুশী হবো, সেই সাথে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর নিয়ে একটি পুর্নাঙ্গ ও প্রশ্নবিদ্ধ যেন না হয় এমন কমিটি অচিরেই অনুমোদন হবে সেই প্রত্যাশা করি।

আরো পড়ুন