দেবিদ্বারে গঙ্গামন্ডল মডেল কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষ ভাংচুর

মোঃ ফখরুল ইসলামঃ দেবিদ্বার উপজেলার ‘গঙ্গামন্ডল মডেল কলেজের ৯শিক্ষকের বেতন-ভাতা ৬মাস বন্ধ সহ শিক্ষকদের ছাটাই করে দেয়ায় শিক্ষকবিহীন কলেজে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যহত হওয়ায় ওই কলেজ’র শিক্ষার্থীরা পূর্বের সকল শিক্ষকদের পূনর্বহাল দাবী করেন অন্যথায় সকল শিক্ষার্থীদের টিসি নিয়ে চলে যাওয়ার হুমকীকে আন্দোলনে নামেন। এবং এ নিয়ে শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবীদ্র চাকমার নিকট শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ করেন।

গত শনিবার কলেজ’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ শিক্ষার্থীদের দাবী পুরনে রোববার সময় বেঁধে দেন এবং ওই দাবী পুরনের আশ্বাসে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কলেজে উপস্থিত থাকার কথা বলেন। কলেজ অধ্যক্ষ রোববার কলেজে না এসে থানায় এসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রস্তুতি নেয়ার সংবাদে রোববার সকাল ১১টায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা কলেজ অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

সংবাদ পেয়ে দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) মোঃ মোরশেদ আলম একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ব্যপারে কলেজ অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রভাষক জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করতে বলে কুমিল্লা চলে যান। ঘটনার পর থেকে শিক্ষক অভিভাবকগন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অনিয়মতান্ত্রিকভাবে শিক্ষক ছাটাই, শিক্ষকের অভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যহত হওয়ার অভিযোগ এনে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভীড় করেন।

ওই ঘটনায় কলেজ’র পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ফারুক মৃধার সাথে সেলফোনে বার বার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। অপর দিকে দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) মোঃ মোরশেদ আলম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষ ভাংচুর দেখতে পেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালনা পর্ষদ’র দ্বন্দ্ব, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বকেয়া রেখে শিক্ষক ছাটাই এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যহত হওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ওই ভাংচুর করে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। তদন্তের পর সঠিক বিষয়টি বলা যাবে।

এ ব্যপারে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবীন্দ্র চাকমা বলেন, আজ ৩৭জন শিক্ষার্থী এসে আমার নিকট লিখিত অভিযোগ জানিয়ে গেছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর তাই তদন্ত ছাড়া এমূহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বলেছি শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ রেখে ছাটাই করার এখতিয়ার তিনি রাখেন না, কারন তিনি নিজেও বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত নন।

আরো পড়ুন