বর্ণাঢ্য অয়োজনে ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা মুক্ত দিবস উদযাপন

ডেস্ক রিপোর্টঃ বর্ণাঢ্য অয়োজনে ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার সকালে কুমিল্লা টাউন হলে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সন্ধায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃািতক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ র‌্যালিতে অংশ নেয়। সকালে কুমিল্লা টাউন হলের অস্থায়ী মে মুক্তিযুদ্ধকালীন পতাকা, জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উড়িয়ে দিনব্যাপি অনুষ্ঠানের সূচনা করেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক কমান্ডার শফিউল আহাম্মেদ বাবুল। বর্ণাঢ্য র‌্যালি কুমিল্লা নগর উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুারালে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সন্ধায় কুমিল্লা টাউন হলে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সন্ধায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে পরাধীন থাকতো বাঙ্গালী জাতি, স্বাধীনতার মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন।

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে তিনদিকে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী কুমিল্লা বিমান বন্দরে পাক বাহিনীর ২২ বেলুচ রেজিমেন্টের ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করে। পাক বাহিনীর অবস্থানের উপর মুক্তিসেনারা মর্টার আর্টিলারি আক্রমণ চালিয়ে শেষ রাতের দিকে তাদের আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হয়।

সারা রাতব্যাপি পাকবাহিনীর সাথে যুদ্ধে ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পাক বাহিনীর কতিপয় সেনা বিমান বন্দরের ঘাটি ত্যাগ করে শেষ রাতে বরুড়ার দিকে এবং কুমিল্লা সেনানিবাসে ফিরে যায়। বিমান বন্দরের ঘাঁটিতে ধরা পড়া কিছু পাক সেনা আত্মসমর্পণ করে।

আরো পড়ুন