ব্রাক্ষণপাড়ায় যৌতুকের দাবিতে গৃহ বধুকে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লার ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রামের রহিমা বেগম (৩৩) নামের এক গৃহ বধুকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্ম হত্যার প্রচার চালায়।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত সাড়ে ৯ টায়। খবর পেয়ে ব্রাক্ষণপাড়া থানা পুলিশ রাতে লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্হানীয় সূত্র জানায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন এর বারেশ্বর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে রহিমা বেগম এর সঙ্গে একই জেলার ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলার মালা পাড়া ইউনিয়ন এর অলুয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে রবিউল হাসানের পারিবারিক ভাবে ২০০৫ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের পিত্রালয় থেকে যৌতুক হিসেবে ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, ফার্নিচার সহ তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল প্রদান করে।

বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে রহিমা বেগম এর স্বামী রবিউল হাসান মিন্টু তার বাবার বাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এর পর রহিমা বেগম তার বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে দেয়। এর মধ্যে রহিমা বেগম এর কূল জুড়ে তিন ছেলে এক মেয়ে আসে। রহিমার ছোট ভাই জামাল হোসেন ডালিম অভিযোগ করে বলেন বিয়ের পর থেকে যৌতুকের বহু বার মারধর করেছে। এনিয়ে গ্রামের শওকত আলী মাষ্টার, মেম্বার, সাহেব সর্দার অবগত আছে। এছাড়া নির্যাতন ও অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আমরা গত ২০১৪ ইং সালে কুমিল্লা নারী শিশু আদালতে মামলা দায়ের করি। তখন ওই এলাকার শওকত আলী মাষ্টার সহ গ্রামের সাহেব, সর্দার গন মিমাংসা করে দেন উভয় পক্ষের মধ্যে। জামাল হোসেন আরও জানান এর পর আবার ও শুরু হয় আমার বোনের উপর শারীরিক নির্যাতন। অপর বোন জানিয়েছে একই এলাকার আবদুল মতিন এর মেয়ের সঙ্গে তার ভগ্নিপতি রবিউল হাসানের পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ পরকিয়ায় রহিমা বেগম বা্ধা দিলে সম্প্রতি রবিউল হাসান মিন্টু আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং যৌতুক এনে দেওয়ার কথা বলে নির্যাতন করে।

জামাল হোসেন আরও বলে এ অভিযোগ আমাদের বাড়ি এবং তার স্বামীর বাড়ির লোকজন কে জানায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিউল হাসান মিন্টু ও তার পরিবারের লোকজন গত শনিবার রাতে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্ম হত্যা করেছে বলে প্রচার চালায়। মৃত্যুর পূর্বে রহিমা বেগম তার জামাল হোসেন কে ফোনে জানায় আমাকে আর বাঁচতে দিবে না তারা মেরে ফেলবে। খবর পেয়ে ব্রাক্ষণ পাড়া থানা পুলিশ ওই রাতে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরন করে।

এ ব্যপারে ব্রাহ্মণ পাড়া থানার ওসি তদন্ত সামস উদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।এবং আইন গত ব্যবস্হা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন