শেষ জুম্মায় কুমিল্লার মসজিদগুলোতে ছিল মুসুল্লিদের উপচে পড়া ভীড়

ডেস্ক রিপোর্টঃ আজ পঁচিশে রমজান এবং পবিত্র জুম্মাতুল বিদা বা রমজানের শেষ জুম্মায় কুমিল্লার মসজিদগুলোতে ছিল মুসুল্লিদের উপচে পড়া ভীড় । মসজিদের বাইরের রাস্তাগুলোতে মুসুল্লিদের নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে । নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

দেখতে দেখতে মাহে রমজানের নাজাতের দশকও চলে যাচ্ছে। অশেষ কল্যাণ ও পূণ্যের বসন্ত রোজার মাসে মহান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জাত বান্দাকে মাফ করতে যান। এই কারণে তিনি মাফের অনেক সুযোগ রেখেছেন। রমজানের রোজা, তারাবি, শবে কদর সবই বান্দাকে মাফ করার এক একটি ওছিলা বানিয়েছেন। উদাহরণ স্বরূপ, রোজার কথাই ধরা যাক।

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে তার অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে (বুখারী, মুসলিম, তিরমিজী)। হাদিসে আরও এসেছে, এই মাসে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকেন যে, হে নেকী অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও এবং হে পাপাচারী, বিরত হও। আর বহু লোককে এ মাসে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেয়া হয় এবং প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে (তিরমিজী ও ইবনে মাজা )। তারাবির ব্যাপারে সহীহ হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় তারাবির নামাজ আদায় করবে তার অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে (বুখারী, মুসলিম)।

শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও ছওয়াবের নিয়তে কদরের রাত্রি ইবাদতে কাটাবে তার পূর্বের সমস্ত গোনাহ মাফ করা হবে (বুখারী, মুসলিম)। হাদিসের আলোকে আমরা বুঝতে পারলাম, রমজান মাস অতি পবিত্র এবং বরকতময় যেখানে পদে পদে গোনাহগার বান্দাদেরকে মাফ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে, রমজানের শেষ দশকে জাহান্নাম থেকে বিপুল সংখ্যক কয়েদীকে নাজাত দেয়া হয়।

এক হাদিসে হুজুর (সাঃ) বলেন, রমজানের প্রতি দিবারাতে জাহান্নামের কয়েদীদেরকে মুক্তি দেয়া হয় এবং প্রতি দিবারাতে মুসলমানের একটি দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয় (তারগীব)। আর এক হাদিসের অংশ বিশেষে প্রিয় নবী কারিম (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে ইফতারের সময় এমন দশ লাখ লোককে জাহান্নাম হতে মুক্তি দান করেন যাদের ওপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গিয়েছিল। এরপর যখন রমজানের দেশ দিন আসে তখন পহেলা রমজান থেকে শেষ পর্যন্ত যত লোককে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেয়া হয়েছে তার সমসংখ্যক লোককে একদিনে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেয়া হয় (তারগীব: বায়হাকি)। এ কারণে আমাদেরও বেশী বেশী আল্লাহর কাছে নাজাতের জন্য দোয়া করা উচিত। কারণ, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া ও জান্নাত হাসিল করাই মানুষের আসল উদ্দেশ্য ও কামিয়াবি (আল কুরআন)।

আরো পড়ুন