এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জে কুমিল্লা বোর্ডের আয় ৪৯ লাখ টাকা

কুমিল্লা বোর্ডে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না পেয়ে ১৭ হাজার ৬৭৭ জন পরীক্ষার্থী ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছেন। এসব শিক্ষার্থীরা মোট ৩৯ হাজার ৩০৩ টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন। প্রতি বিষয় আবেদনের জন্য ১২৫ টাকা হারে মোট ৪৯ লাখ ১২ হাজার ৮৭৫ টাকা বোর্ডকে দিতে হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিভাবকরা বলছেন, প্রতিবছর প্রয়োজনের চেয়ে কয়েকগুন বেশি টাকা নিচ্ছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছেন, যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই নেয়া হয়। তবে টাকার পরিমাণ কমিয়ে দিলে অযথাই আবেদন করবে শিক্ষার্থীরা। পুনঃপরীক্ষণের ফল ৩০ জুন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হক।

বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, গত ৭ জুন রবিবার ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ শেষ হয়েছে। গত ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। যারা প্রত্যাশিত ফলাফল পাননি তারা গত ১ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করতে পেরেছে।

তারা আরও জানান, কুমিল্লা বোর্ডে ১৭ হাজার ৬৭৭ জন শিক্ষার্থী মোট ৩৯ হাজার ৩০৩টি আবেদন করেছেন। এরমধ্যে গণিতে ৮৬৩৮টি, বাংলায় ২৫০৫টি, ইংরেজিতে ২৮৯০টি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি বিষয়ে ৩৮৮৪টি, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ৩৩৯৭টি আবেদন করা হয়েছে।

তবে খাতা চ্যালেঞ্জ করার মানে এই নয় যে, খাতাগুলো নতুন করে মূল্যায়ন করা হবে। বাস্তবে খাতাগুলোর নম্বর গণনা ঠিক আছে কিনা তা দেখা হবে। প্রতিবছর শত শত পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়। কেউ ফেল করা থেকে জিপিএ ফাইভও পেয়ে থাকেন। একশ্রেণির পরীক্ষকদের উদাসীনতায় এমন ঘটনা ঘটে থাকে ফি বছর। অন্যদিকে এইসব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ফি নেওয়া হয়।

এর আগে গত ৩১ মে ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পরে শিক্ষামন্ত্রী ফলের বিস্তারিত বিশ্লেষণ সংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাস করেছে ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। গতবার এই পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে। ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ শিক্ষার্থী চলতি বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। গতবারের তুলনায় এবছর পাস ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।

আরো পড়ুন