কুমিল্লায় ছেলেদের বিরুদ্ধে বাবাকে হত্যার অভিযোগ, লাশ মিলল কাদায়

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছেলেদের বিরুদ্ধে বৃদ্ধ পিতা এনামুল হক ওরফে এনাম দরবেশকে (৬২) নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যার পর লাশ গুম করে পুকুরের কাদা মাটিতে চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনামুল হক উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের জোড্ডা পূর্বপাড়া মিয়াজী বাড়ির মৃত শামছুল হকের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) এনামুল হকের স্ত্রী মাফিয়া বেগম বাড়ির পার্শ্ববর্তী পানিশূন্য পুকুরে কাদামাটি আনতে গিয়ে কাদামাটির ভিতরে এনামুল হকের লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ পুকুর থেকে এনামুল হকের লাশ উদ্ধার করে এদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এনামুল হকের পিঠে, গাড়ে এবং মুখে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে, বাবা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাবাদের জন্য পুলিশ এনামুল হকের তিন ছেলে নুর মোহাম্মদ সুমন (৩২), নুর আলম সুজন (৩০), শাহপরানকে (২৪) থানা হেফাজতে নিয়েছে। পুলিশ ঘরের ভিতর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র দা, বটি এবং রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার করেছে। এ সময় ঘরের মেঝেসহ বিভিন্নস্থানে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। এনামুল হক গত সোমবার রাত ৯টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জোড্ডা গ্রামের এনামুলের সাথে গত প্রায় এক বছর ধরে তার ছেলেদের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এনামুল হক কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে তার এক ছেলে শাহজাহানকে প্রবাসে পাঠায়। অপর ছেলে শাহপরানকেও প্রবাসে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেন তিনি। এনিয়ে অন্য ছেলেদের সাথে এনামুল হকের বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিয়াজী একাধিকবার সালিস বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধানের চেষ্টা করেন।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহত এনামুল হকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার আলামত হিসেবে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার তিন ছেলেকে জিজ্ঞাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। হত্যার ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

আরো পড়ুন