কুমিল্লা ক্লাবের শতবর্ষ পূতি অনুষ্ঠানের সমাপনী

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কুমিল্লা ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, আমি কুমিল্লাকে নিয়ে গর্ব করি। কুমিল্লার ইতিহাস সমৃদ্ধ। কুমিল্লার ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন যেসব গুণীজনরা কুমিল্লা কাব শতবর্ষ অনুষ্ঠানে তাঁদের সম্মাননা জানিয়েছে। আমরা ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারণ করে আগামী প্রজন্মের জন্য নতুন কুমিল্লা তৈরি করতে চাই। এজন্য কুমিল্লা ক্লাবের শতবর্ষের অনুষ্ঠান কাব গন্ডি থেকে বের হয়ে স্টেডিয়ামে করা হয়েছে যাতে কুমিল্লাবাসী তা উপভোগ করতে পারে। আমি কুমিল্লাকে নিয়ে যেমন গর্ব করি তেমনি কুমিল্লা কাবকে নিয়ে গর্ব করি। কুমিল্লা জিলা স্কুলকে নিয়েও আমি গর্ব করি। কুমিল্লায় যেমন গুণী মানুষেরা রয়েছেন তেমনি অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে যা নিয়ে গর্ব করা যায়। আমি কুমিল্লাকে ইভটিজিং, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করেছি। কুমিল্লার মানুষ আমাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। আগামীদিনেও সকল ভালো কাজে কুমিল্লার মানুষ আমাকে সহযোগিতা করবে। গতকাল ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ক্লাবের শতবর্ষ পূর্তি সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নারীনেত্রী ও কুমিল্লা ডায়াবেটিক সমিতির সভানেত্রী মেহেরুন্নেছা বাহার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা ক্লাবের সহ সভাপতি ও শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহবায়ক আরফানুল হক রিফাত।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো: আবদুল হান্নান।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শতবর্ষ উদযাপন সাংস্কৃতিক কমিটির আহবায়ক ও কুমিল্লা অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হাসান ইমাম মজুমদার ফটিক।

আতশবাজি ফুটানোর মধ্য দিয়ে সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ‘হে সুন্দর অতিথি’ শীর্ষক গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করা হয়।

আলোচনা পর্বের শেষ পর্যায়ে কুমিল্লা ক্লাবের বিগত সময়কার সাধারণ সম্পাদকের পরিবারের মধ্যে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করেন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তাঁর সহধর্মিণী মেহেরুন্নেছা বাহার। সংবর্ধিত প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকের পরিবারের মধ্যে যাদের পরিবারকে সংবর্ধনা জানানো হয় তারা হলেন অধ্যাপক একে ফজলুল হক, মো: আবদুস সহিদ ইসহাক, ইকরামুল হোসেন শাহাজাদা, অধ্যাপক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম খান, ডা. মো: শহীদুল্লাহ, অধ্যক্ষ হাসান ইমাম মজুমদার ফটিক, আজিজুল হক মজুমদার কামাল, আরফানুল হক রিফাত ও মো: আবদুল হান্নান।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নারীনেত্রী মেহেরুন্নেছা বাহারকে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, কনা ও আকাশ সেন। নৃত্য পরিবেশন করেন মেহজাবিন চৌধুরী ও সোহেল রানা। সবশেষে ছিল জলের গান।

আরো পড়ুন