ছুটির দিনে ময়নামতি-শালবন বিহারে পর্যটকের ভিড়

ছুটির দিনে ভিড় বেড়েছে কুমিল্লার শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকাল থেকে জেলার দুটি বিনোদন স্পটে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। ভিড় সামলাতে হিমশিম পোহাতে হয় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৩৭ একর জায়গা জুড়ে শালবন বিহারের অবস্থান। সমতল থেকে যার উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। বুদ্ধ রাজাদের সময় সপ্তম থেকে অষ্টম শতাব্দীতে এ বিহার স্থাপিত হয়। আর ময়নামতি জাদুঘরে রয়েছে অসংখ্য পুরাকীর্তি।

জাদুঘরের পাশে বন বিভাগের পিকনিক স্পট, বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) ও থাকায় ছুটির দিনগুলোতে মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়।

পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে শালবন বিহারে ঘুরতে আসেন মৃদুল কান্তি সেন। তিনি বলেন, ইতিহাস মতে কুমিল্লা পর্যটন জেলা। বহু ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে এ জেলায়। বিশেষ করে কোটবাড়ি এলাকায় দেখার মতো অনেক কিছুই রয়েছে। যা একদিনে ঘুরে শেষ করা সম্ভব নয়। সে হিসেবে হোটেল-মোটেল, ভাল রেস্তোরাঁ ও বিশ্রামাগার এখানে নেই। এগুলি নির্মাণ করা সময়ের দাবি।

আনোয়ার হোসেন নামের এক পর্যটক জানান, সকালে নরসিংদী থেকে সহপাঠীদের নিয়ে কুমিল্লায় এসেছি। ইটাখোলা মুড়া, চণ্ডী মন্দির, রাজেশপুর ফরেস্ট বিট, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ওয়ার সিমেট্রি ঘুরে কোটবাড়িতে এসেছি। এখানে শৌচাগার না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এছাড়া কোটবাড়িতে ভালোমানের হোটেল-মোটেল না থাকায় রাত্রী যাপনের জন্য শহরে ফিরতে হয়েছে।

কুমিল্লার ইতিহাসবিদ আহছানুল কবীর বলেন, কুমিল্লায় পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসাবে যাতায়াত, নিরাপত্তা, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এসবের সমাধান হলে সরকারের রাজস্ব আয় আরও বাড়বে।

এসব বিষয়ে কুমিল্লা ময়নামতির শালবন বিহার ও জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান হাসিবুল ইসলাম সুমির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

আরো পড়ুন