বরুড়ায় ব্রিজের নির্মাণকাজে ধীরগতি, চরম ভোগান্তি

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার চিতড্ডা ইউপির জামতলা ব্রিজ। চলছে এর নির্মাণ কাজ। যাতায়াতের জন্য বিকল্প সড়ক না রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছে ১২ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজটির কাজ হচ্ছে খুবই ধীরগতিতে। তবে ঠিকাদার বলছেন, ভালো ব্রিজ নির্মাণের জন্যই মূলত: সময় একটু বেশি নিতে হচ্ছে।

তাছাড়া এই করোনাকালে এর কাজ শুরু করায় স্থানীয়দের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। এরইমধ্যে এই ছোট্ট ব্রিজটির নির্মাণের জন্য পরিবর্তন হয়েছে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

জানা যায়, চিতড্ডার জামতলার এ ব্রিজটি বরুড়ার ঝলম বাজার থেকে চান্দিনা ও চাঁদপুরের কচুয়া যাতায়াতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কাদুটি, নবাবপুর, রামমোহন, ঝলম ও আড্ডা বাজার যাতায়াতে স্থানীয়রা এটি ব্যবহার করেন। ওড্ডা, চিতড্ডা, চাইলছোঁ, নোয়াপাড়া, পদুয়ার পাড়, কাতিয়ার পাড়, ভূয়ারি, ভামন্ডার হাজারও মানুষ এ ব্রিজটি ব্যবহার করে থাকেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ চৌধুরী বলেন, ব্রিজটির কাজ খুব ধীরগতিতে হচ্ছে। আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, এ্যাম্বুলেন্স বা জরুরি যানবাহন চলাচলের কোনো উপায় নেই। চলমান সংকটে ব্রিজের আশেপাশের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। কাজটি দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন।

চিতড্ডা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম মন্তব্য করেন, বরুড়া লকডাউন ঘোষণার পর এ ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে। তাছাড়া এর কাজ হচ্ছে কচ্ছপ গতিতে। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাবেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জহির জানান, এ কাজটি এইচ ডি ট্রেডার্সের মিজান ভাইয়ের। আমরা এক সঙ্গে কাজ করি। শেষ সময়ে কাজটি আমার হাতে এসেছে। চেষ্টা করছি যেন ব্রিজটির কাজ দ্রুত শেষ করা যায়।

মো. জহির জানান, এখানকার মাটি ভালো না, যার কারণে ব্রিজের ফাউন্ডেশন তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছে। বেকু দিয়ে দুইবার, শ্রমিক দিয়ে তিনবার মাটি খনন করতে হয়েছে। খালটি ত্রিমুখী হওয়ার কারণে বিকল্প সড়ক রাখা যায়নি। মাটি দিয়ে লাভ নেই, ভেঙে যায়।

তিনি বলেন, আমরা উত্তরবঙ্গের নির্মাণ শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাই। তারা করোনার কারণে দেশে চলে গেছে, এখন স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। আশা করি এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।

বরুড়ার উপজেলা প্রকৌশলী ফুয়াদ হাসান বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের সময় চলে গেছে বহু আগেই। নির্ধারিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজেরা না করে অন্য ঠিকাদারকে দিয়েছে। করোনার এ সময়ে তারা চেষ্টা করছে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করতে। এখন পুরোদমে কাজ চলছে। বর্ষার আগেই আশা করছি কাজ শেষ হবে।

সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ

আরো পড়ুন