বিএনসিসি, ময়নামতি রেজিমেন্ট কর্তৃক জাতির পিতার ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী পালন

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), ময়নামতি রেজিমেন্ট কুমিল্লার আয়োজনে , স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে ক্যাডেটদের সমন্বয়ে বঙ্গবন্ধুকে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার আযোজন, গরীব ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, ক্যাডেট ও সামরিক প্রশিক্ষকদের রক্তদান কর্মসূচি ও পথশিশুদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর বিশেষ করে জাতীয় শোক দিবশের সাথে সংগতি রেখে ময়নামতি রেজিমেন্ট ক্যাডেটদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভার্চুয়্যাল (অনলাইন) প্রতিযোগীতা (বাংলা ও ইংরেজি) এবং একই সাথে বঙ্গবন্ধর সংগ্রামী জীবনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিবের অবদান এর উপর মহিলা ক্যাডেটদের নিয়ে ভার্চুয়্যালি (অনলাইন) প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, অফিসার, কর্মচারী, সামরিক প্রসিক্ষক ও ক্যাডেটদের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত আয়োজন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ময়নামতি রেজিমেন্ট কমান্ডার মেজর মো. জসীম উদ্দীন। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, “যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরী, যমুনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তি তোমার, শেখ মুজিবুর রহমান”।
বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এক চেতনার নাম, একটি রাষ্ট্রের জন্মদাতার নাম, মানুষটির নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের শতশত পাতা মহান এ মানুষটির সামনে ঠুনকো মনে হয়। আর মনে হবেই না কেন? বঙ্গবন্ধু নিজেই এক মূর্তমান ইতিহাস, গৌরবের ইতিহাস, প্রাণের ইতিহাস।

মেজর জসীম উদ্দীন বলেন, জাতির পিতা এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি , হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, অদম্য স্পৃহা ও প্রত্যয়, বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, বহু ত্যাগ ও সংগ্রামের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাঙালি জাতির মুক্তি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চভিলাষী, বিপথগামী সেনা অফিসারদের হাতে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়। ভাগ্যচক্রে বিদেশ থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে ছিলেন। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গুপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। ১৫ ই আগস্ট ১৯৭৫ সাল বাঙালি জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় দিন। প্রতিবছর এ দিবসটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

আলোচনা সভা শেষে অত্র রেজিমেন্ট কর্র্তৃক একটি শোক র‌্যালী বের করা হয়, র‌্যালীতে জনসচেতনতামূলক প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন প্রদর্শনসহ মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার, মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে ময়নামতি রেজিমেন্ট কমান্ডার মেজর মো. জসীম উদ্দীন, প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ময়নামতি রেজিমেন্টের রেজিমেন্ট এ্যাডজুটেন্ট মেজর মো. গোলাম ছরওয়ার, বিএনসিসি অফিসার ও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

আরো পড়ুন