কুমিল্লায় ‘ইয়াবা বেচে’ কোটিপতি পুলিশের এএসআই নাছির !
ডেস্ক রিপোর্টঃ সীমানা প্রচীর ঘেরা বাড়ি। প্রধান ফটকের দরজাটিও দৃষ্টিনন্দন। ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বাড়ির উঠানে ৪টি গাড়ি। ১০ কক্ষ বিশিষ্ট দুই ইউনিটের বিশাল বাড়ি। এক ইউনিটের কাজ শেষে হলেও অপর ইউনিটে এখনও নির্মাণ কাজ চলছে।
পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের এই বাড়িতেই বসবাস করেন ইয়াবা পাচারে অভিযুক্ত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই ) নাছির উদ্দিনের পরিবার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ ঘেঁষেই বাড়িটির অবস্থান।
চান্দিনা উপজেলার কেরনখাল ইউনিয়নের দোতলা গ্রামে মহাসড়ক থেকে মাত্র ১০ গজ দূরত্বে এএসআই নাছিরের পৈত্রিক নিবাস। বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার পিতা নূরু মিয়ার সঙ্গে।
তিনি জানান, তার তিন ছেলে এবং তিন মেয়ের আছে। নিজের অটো ও টেম্পো চালিয়ে সংসার চালাতে তিনি। বড় ছেলে নাছির উদ্দিন ২০০৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। আর মেঝ ছেলে রিয়াজ দুবাই থাকেন এবং ছোট ছেলে মামুন এবার এসএসসি পরীক্ষা দেয়।
নূরু মিয়া বলেন, ছেলে পুলিশে চাকরি করে দ্রুত প্রমোশন পাওয়ার বিষয়টি জানলেও জানেন না ছেলের ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত থাকার কথা।
স্থানীয়রা জানায়, কুমিল্লা সদরের বিয়ে করেন এএসআই নাছির উদ্দিন। ২০০৬ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগদান করে ২০১৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে এএসআই হন। পুলিশের মাত্র একজন এএসআই পদে চাকরি করে এতো সহায় সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয়দের। এএসআই নাছির উদ্দিনের উত্থান নিয়ে গ্রামবাসীর মুখে নানা সমালোচনাও শোনা যায়।
জানা যায়, বর্তমানে এএসআই নাছিরের তিনটি মাইক্রোবাস ও একটি লেগুনার সঙ্গে ঢাকা-নবাবপুর রুটে চলছে বাসও। এছাড়া ইতোমধ্যে কুমিল্লা শহরে শ্বশুর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়িও কিনেছেন। বেশ কিছু জমিও কিনেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য,গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকা থেকে চার হাজার পিস ইয়াবাসহ মো. নাছির উদ্দিন ও তার সহযোগী মো. কাউসারকে (২৮) আটক করা হয়।