পুলিশ অফিসার রুবেলকে সংবর্ধনা দিলেন সেনানিবাস এলাকার জনগন
মারুফ আহমেদঃ মানুষ মানুষের জন্য এই কথাটি অক্ষরে অক্ষরে যেন ফুটে উঠেছে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার মানবিকতার মধ্য দিয়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬শে মে কুমিল্লা সদর উপজেলার আমতলী এলাকার মহাসড়কের পাশে নোংরা আবর্জনায় খোলা আকাশের নিচে সন্তান প্রসব করে মানুষিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরী। দীর্ঘ সময় রাস্তার পাশে পরে থাকেলেও এগিয়ে আসেনি কেউ। খবর পেয়ে ছুটে যান ইন্সপেক্টর রুবেল নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা। স্থানীয় কয়েকজন মহিলার সহায়তা নিয়ে নবজাতক ও তার সদ্য প্রসূত কন্যা শিশুটিকে উদ্ধার করেন। কেবল মাত্র মানবিক দায়িত্ববোধ এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসার অনন্য নজির স্থাপন করেন তিনি। কুমিল্লা জেলা তথা বাংলাদেশ পুলিশের এই সদস্য নবজাতক শিশু ও মা কে চিকিৎসা সেবাসহ যাবতীয় খোজ খবরও রাখেন। জান্নাতুল মাওয়া জান্নাত নামে নিজেই নাম রাখেন সেই প্রতিবন্ধী নাম ঠিকানহীন কিশোরীর শিশুটির। সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং সংবাদ পত্রে ছড়িয়ে পরে খবরটি। পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদ হাছান রুবেলের এই মানবিকতা স্থান করে নেয় এলাকাবাসীর অন্তরে। আর এতে সত্যিকার অর্থেই প্রমানীত হয় “পুলিশ জনগনের সেবক ও বন্ধু”।
মানব সেবার অনন্য অবদানের রাখায় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার জনসাধারণ, মার্কেটের ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ ,ফুলেল শুভেচ্ছা, সম্মাননা ক্রেষ্ট এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সোমবার বিকেল ৫টায় ক্যান্টনমেন্ট মার্কেটের হোটেল কফি হাউজের কনফারেন্স রুমে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন, সৌদিআরব প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান ভুইয়া। হোটেল কফি হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল রানা। কেমতলি টেকনিক্যাল স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, সমাজ সেবক ও ঠিকাদার আবু তাহের ভুইয়া, ময়নামতি সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম। যুগ্ম আহ্বায়ক দিদারুল ইসলাম। শিক্ষক সমিতি নেতা এমরান হোসেন, স্থানীয় ঠিকাদার ও সমাজ সেবক আজাদ মোস্তফা। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাজির মাহমুদ, সুপার মর্কেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম তালুকদার ও সাইফুল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ। সংবর্ধনা প্রদান শেষে এই পুলিশ কর্মকর্তার সম্মানে বিশেষ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।