অনুর্ধ-১৯ যুব এশিয়া কাপ দলে কুমিল্লার ছেলে মেহেদী হাসান
ডেস্ক রিপোর্টঃ ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপ ক্রিকেট অনুর্ধ-১৯। বাংলাদেশেই বসছে যুব এশিয়া কাপের এ আসর। উদ্বোধনী ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপকে সামনে রেখে বুধবার বিসিবি ১৫ সদস্যের যুব দল ঘোষনা করে। ঘোষিত তালিকায় রয়েছেন লালমাইস্থ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমীর ছাত্র পেস বোলার মেহেদী হাসান। সে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই শিবপুরের কৃষক শফিকুর রহমানের ছেলে। ৬ ভাই বোনের মধ্যে সে সবার ছোট।
অনুর্ধ-১৯ এ চান্স পাওয়ায় মেহেদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল এমপিসহ কুমিল্লার ক্রীড়া প্রেমিরা।
এ খবরে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে কুমিল্লার ক্রিকেটাঙ্গন। ২০১৬ সালে অনুর্ধ-১৯ এর ২৪ জনের তালিকায় এই একাডেমীর ছাত্র লাকসামের তানভীর হাসানের নাম উঠলেও চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়ে যায়। কিন্তু এবার চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে লালমাইয়ের মেহেদী। এর আগে ২০০২ সালে কুমিল্লার ওয়াসেল আহমেদ অনুর্ধ-১৯ দলের হয়ে খেলেছেন।
তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় ওয়াসেল আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর অনুর্ধ-১৯ দলে কুমিল্লার মেহেদী চান্স পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের। আমার বিশ্বাস সে একদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলবে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমীর প্রধান কোচ আতিকুর রহমান বলেন, মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী লোটাস কামাল এমপির পৃষ্টপোষকতায়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারপারসন নাফিসা কামালের সহযোগিতায়, জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্বাবধানে এবং একাডেমীর সভাপতি গোলাম সারওয়ারের নির্দেশনায় আমি তৃণমূল থেকে প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে খেলোয়াড় তৈরির কাজ করি। মেহেদী এমনি একজন। সে গরীব পরিবারের সন্তান। তার পক্ষে প্র্যাকটিস সামগ্রী ক্রয়ের সুযোগ ছিলো না। একাডেমীর সভাপতির সিদ্ধান্তে তাকে ফ্রী প্র্যাকটিস সামগ্রী দেওয়া হতো। মেহেদীর সাফল্যে আমিসহ আমাদের একাডেমী গর্বিত।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমীর ছাত্র অনুর্ধ-১৯ দলেবাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দলে চান্স পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মেহেদী হাসান বলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডমেীর প্রধান কোচ আতিক স্যারই (মো: আতিকুর রহমান) আমার অনুপ্রেরণা। স্যারের ছোঁয়াতেই আজকের আমি। স্মৃতিচারন করতে গিয়ে মেহেদী আরো বলেন, স্কুল বা গ্রাম পর্যায়ে টেপ টেনিস বল খেলতাম। ২০১৪ সালে একদিন লালমাই একাডেমী মাঠে (বর্তমান শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম) প্র্যাকটিস শেষ করে খেলোয়াড়রা বিদায় নিচ্ছিলো। আমি তখন একাডেমীর একজন খেলোয়াড় থেকে কাঠের বল চেয়ে নিই এবং বল করার চেষ্টা করি। তখন একাডেমীর কোচ আতিক স্যার এগিয়ে এসে আমার পরিচয় জানেন এবং আমাকে বল করার সুযোগ দেন। এরপর থেকে তিনি আমাকে নিয়মিত প্র্যাকটিস করাতেন, খেলার নিয়ম কানুন ও কলা কৌশল শিখাতেন। একপর্যায়ে তিনি আমাকে জিলা স্কুল টিমে খেলার সুযোগ করে দেন। ২০১৬ সালে আমি কুমিল্লা জিলা ও বিভাগের হয়ে অনুর্ধ-১৬ খেলি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৭ তে চান্স পাই। ভারতে গিয়ে আফগানিস্থানের বিপক্ষে খেলেছি। এবার অনুর্ধ-১৯ এ চান্স পেয়েছি। আমি কুমিল্লাবাসীর দোয়া চাই।