কুমিল্লা-১০ ও ১১: বিরোধী জোটের দুই প্রার্থী মনিরুল, তাহের মাঠে নেই
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় দুই মন্ত্রীর বিপরীতে নির্বাচনী মাঠে নেই ২০–দলীয় জোটের প্রার্থীরা। এই দুই প্রার্থীর একজন কারাগারে, অপরজন পলাতক। তাঁদের পক্ষে জোটের নেতা–কর্মীরা প্রচারণায় নামলেও বাধার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ করছেন।
বিরোধী জোটের এই দুই প্রার্থী হলেন কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী ও কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে জামায়াতে ইসলামীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ২০১৫ সালে চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে আগুনে পুড়িয়ে আট যাত্রী হত্যা মামলার আসামি হয়ে কারাগারে আছেন মনিরুল। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক। একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছেন না জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ তাহের। তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
কুমিল্লা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কুমিল্লা-১১ আসনে সরকারি দলের প্রার্থী হয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক।
মনিরুল হকের মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস বলেন, যেসব মামলায় তাঁর বাবাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে, এগুলোর সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করতে এমনটা করা হচ্ছে। তাঁর বিশ্বাস, শিগগির তিনি মুক্ত হয়ে নির্বাচনী মাঠে আসবেন।
মনিরুল হকের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় করা দুটি মামলা বিচারাধীন ও সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আরও দুটি মামলা তদন্তাধীন আছে। জামায়াতের তাহেরের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা রয়েছে।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি মাঠে সরাসরি না থাকলেও কাজ চালানোর মতো যোগ্য নেতা রয়েছেন। চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, নেতা–কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ২২ মামলার মধ্যে ২১টিতে জামিনে আছেন তাহের। চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এ কারণে তিনি মাঠে নেই।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কারাগারে ও আত্মগোপনে থেকেও তাঁরা জিতবেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো