কুমিল্লায় টিলা-সামাজিক বনায়নের মাটি লুট
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় টিলা ও সামাজিক বনায়নের মাটি কেটে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জেলার বুড়িচংয়ে গাছপালা উজাড় করে ভেকু দিয়ে দিনরাত চলছে মাটি লুট।
মাটিবাহী ভারি ড্রাম ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীণ অবকাঠামোর সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি এলাকায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। এদিকে রাতভর এসব ট্রাক চলাচলের বিকট শব্দে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের মানুষকে। এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আনন্দপুর এলাকাটি ছোট ছোট পাহাড় ও টিলাসহ সামাজিক বনায়নে সমৃদ্ধ। এখানে গাছপালা ধ্বংস করে মাটি কেটে নিচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে পাহাড়ি ওই এলাকার সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি পরিবেশও চরম হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে মাটিবাহী ড্রাম ট্রাক এবং ট্রাক্টর চলাচলের কারণে এলাকার সবক’টি সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পাহাড় কাটা এবং মাটিবাহী যান চলাচলের ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম ভোগান্তির শিকার হলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। এসব বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সামনেও কথা বলতে চাননি ভুক্তভোগী লোকজন।
এদিকে পাহাড় কাটার শুরুতে প্রশাসন বাধা দিলেও পরে রহস্যজনক কারণে তা শিথিল হয়ে যায়। তাই আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে বন ও পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে তারা। মাটি কাটার এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে স্থানীয় বাকশিমুল ইউপির বর্তমান এবং সাবেক কয়েকজন প্রভাবশালী সদস্যসহ এলাকার বেশ কিছু দাপুটে লোকজন জড়িত।
যার ফলে অসহায় হয়ে এসব ভোগান্তি নীরবে সহ্য করে নিচ্ছে এলাকাবাসী। অবিলম্বে মাটি কাটা বন্ধ করে সামাজিক বনায়নসহ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহলের।
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, আনন্দপুর এলাকায় পাহাড়ি টিলা এবং বনভূমি উজাড় করে মাটি কাটার বিষয়টি আমার নলেজে ছিল না, আমি আজকেই এ বিষয়ে অবগত হয়েছি, ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ পাঠিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্রঃ যুগান্তর