কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদায় মমতাজ, সময় কাটাচ্ছেন ধর্মীয় বই পড়ে

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি জনপ্রিয় লোকগানের শিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে দেওয়া হয়েছে প্রথম শ্রেণির কারাবন্দীর মর্যাদা। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথাগত নিয়ম অনুযায়ী সাবেক এমপি হিসেবে এই মর্যাদা পাচ্ছেন তিনি।
কারাগারে মমতাজ পাচ্ছেন একটি খাট, একটি টেবিল, সংবাদপত্র ও মাছ-মাংসসহ উন্নতমানের খাবার। সময় কাটাচ্ছেন ধর্মীয় বইপত্র পড়ে।
তার আইনজীবী রেজাউল করিম জানিয়েছেন, মমতাজ আরও কিছু ধর্মীয় গ্রন্থ চেয়ে পাঠিয়েছেন, যা ইতিমধ্যে কারাগারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয় মমতাজকে। ওই সময় তাকে দেখা যায় মাস্ক, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও পুলিশের হেলমেট পরা অবস্থায়।
কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরও এক সাবেক নারী সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন।
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মমতাজ তার আইনজীবী রেজাউল করিমকে হাসিমুখে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়টা মামলা হয়েছে?’ আইনজীবী জবাব দেন, ‘পাঁচটি।’
তখন মমতাজ বলেন, ‘জামিনের জন্য আবেদন করেন।’ জবাবে রেজাউল জানান, ‘শিগগিরই সব কাগজপত্র তুলে উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করা হবে।’
আদালতে এক ঘণ্টার বেশি সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন মমতাজ। পরে তাকে আবার হাজতখানায় নেওয়া হয়।
এর আগে গত ১২ মে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ১৩ মে আদালতে হাজির করার সময় প্রচণ্ড ভিড়ে তার জুতা খুলে পড়ে যায় রাস্তায়। পরে পরিবার থেকে কারাগারে নতুন জুতা পৌঁছে দেওয়া হয়। ২২ মে মানিকগঞ্জ আদালতে হাজির করার সময় তার ওপর ডিম ও জুতা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে।
প্রসিকিউশন বলছে, মমতাজ বেগম ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। তবে তার আইনজীবী দাবি করেন, ‘তিনি একজন শিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই একের পর এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।’
বর্তমানে তিনি রাজধানীর কোতোয়ালি থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার অবস্থায় আছেন।