ব্রাহ্মণপাড়ার পূর্ব চন্ডিপুরে সড়ক কেটে ধানক্ষেত
কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পূর্ব চন্ডিপুরে ৪ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সংযোগ সড়কের অর্ধেক এখন ধানক্ষেত! মালাপাড়া ইউপি এলাকার আসাদ নগর কলেজ গেইট থেকে মালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদগামী সড়কের সাথের এ সংযোগ সড়কটি প্রায় ২ বছর ধরে ব্যবহার করছিলো এলাকাবাসী।
স্থানীয় মোসলেহ উদ্দিন সহ এলাকার লোকজন অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এ সড়কটি নির্বিঘ্নে ব্যবহার করছিলো ৪/৫টি গ্রামের মানুষ। উত্তর শ্যামপুর চন্ডিপুর সহ বেশকিছু গ্রামের মানুষদের দৈনন্দিন কৃষি কাজ, ইউনিয়ন পরিষদ, বাজার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত সহ বুড়িচং ব্রহ্মণপাড়া প্রধান সড়কের সাথে এ সংযোগ সড়কটি ব্যবহার করছিলো। এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য তৎকালীন সময়ে গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারের উপস্থিতে সকলেই নিজ জমির কিছু অংশ ছেড়ে দিয়ে সড়কটি তৈরি ও বাস্তবায়ন করে। বিগত দিনে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন বাজেটে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি টিআর কাবিখার মাধ্যমে উন্নয়নেমুলক কাজ ও করেছে। এই সড়কটি ব্যবহার করেই আশেপাশের প্রায় কয়েক হাজার একর জমির ফসল আনানেয়া সহ ফিসারতে যাতায়াত করতো এলাকাবাসী। এছাড়াও স্থানীয় ১৫-১৬ টি পরিবার ও ফিসারিতে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি।
সাম্প্রতিক সময়ে সড়কের সামনের অংশের স্থানীয় জমি মালিক সিদ্দিকুর রহমান কোন কারন বা আলোচনা ছাড়াই চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে সড়কের অর্ধেক অংশ কেটে তার ধানক্ষেতের সাথে মিলিয়ে দিয়েছে। এলাকাবাসী এতে বাঁধা দিলে তিনি তাতে কর্ণপাত না করে রাস্তাটি কেটে ফেলেন। সিদ্দিকুর রহমানের দাবী করেন জমির মালিক তিনি। তাছাড়া সড়কটি কেবল পায়ে হাটার জন্য দিয়েছিলেন। এখন তিনি তা দেবেন না। স্থানীয়রা সম্মিলিত ভাবে তার কাছ থেকে বাজার মুল্য দিয়ে সড়ক হিসেবে ব্যবহারের জন্য কিনে নিতে চাইলে তিনি তাতেও রাজি হচ্ছেন না।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে আরো জানায়, পেছনের হাজার হাজার একর জমির মালিকগন সহ ৪/৫ টি গ্রামের মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে বারবার অনুরোধ করার পরেও তিনি তা শোনেন নি। রাস্তাটি কেটে ফেলায় চলতি মৌসুমে রাস্তার দুপাশের বিলের বোরো ফসল উৎপাদন ও চাষের গাড়ি চলাচল ও ফসল আনানেয়া নিয়ে বিপাকে পরতে হচ্ছে কৃষকদের। আসাদ নগর, চন্ডিপুর, ওলুয়া, শ্যামপুর, জগৎপুর সহ এ অঞ্চলের মানুষের সহজ যাতায়াতের একমাত্র পথটি কেটে ধানক্ষেতে রুপান্তরিত করায় নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি কর্মকর্তা সুদৃষ্টি কামনা করেন। সেই সাথে সড়কটি স্থায়ী ভাবে নির্মাণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান।