কুমিল্লায় মেয়ের ননদকে ধ’র্ষণের অভিযোগে জেল হাজতে তালুই
মাহফুজুর রহমানঃ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় মেয়ের ননদকে ধ’র্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যাক্তিকে জে’লহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত ধ’র্ষক জাহাঙ্গীর আলম (৫০) উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন চাপিতলা ইউনিয়নের খাপুড়া গ্রামের মৃ’তঃ আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে।
মামলার সূত্রে জানাযায়, জাহাঙ্গীর আলম কয়েক বছর আগে একই গ্রামের ধ’র্ষণে শিকার হওয়া ওই কিশোরীর ফুফুকে বিয়ে করেন। ফুফুকে বিয়ের পর গত বছর ওই কিশোরীর ভাইয়ের সাথে জাহাঙ্গীর তার মেয়েকে বিয়ে দেন। গত বছরের ৮ নভেম্বর জাহাঙ্গীর জোর পূর্বক তার মেয়ের ননদ (১৯)কে ধ’র্ষণের পর তাকে প্রাণে মে’রে ফেলার ভয় দেখায়। তাই ভয়ে ধ’র্ষণের বিষয়টি ওই কিশোরী এতোদিন কাউকে বলেনি।
গত শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ধ’র্ষণের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে। পালিয়ে যায় অ’ভিযুক্ত ধ’র্ষক জাহাঙ্গীর আলম। এ বিষয়ে পরদিন শরিবার রাতে ধ’র্ষণের শিকার ওই কিশোরী তার তালুই জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ ওইদিন রাতেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযুক্ত ধ’র্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে ঢাকার বংশাল থানার ছুরি টোলা এলাকা থেকে গ্রে’ফতার করে।
স্থানীয় ভাবে জানা যায়, অভি’যুক্ত ধ’র্ষক জাহাঙ্গীর আলমের নিজ গ্রামে ৩টি, পার্শবর্তী রগুরামপুর গ্রামে ১টি ও জেলার দেবিদ্ধার থানার মহেশপুর গ্রামে ১টি বিয়ে করেছে।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের মেয়ের ননদকে ডাক্তারী পরীক্ষা জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।