ভোগান্তির আরেক নাম বাগড়া-কুমিল্লা সড়ক, ৫ কি.মি. রাস্তার বেহাল দশা
চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে এলাকার বাসিন্দারা। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর ধরে এই এলাকার বাসিন্দাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে আছে কাদাপানির দুর্ভোগ। এতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের বাগড়া কুমিল্লা সড়কের হরিমঙ্গল থেকে বাগড়া ৫ কি.মি. রাস্তার বেহাল দশা। বৃষ্টির পানি জমে কোথাও কোথাও হয়ে গেছে গর্ত। অটোরিকশা, সিএনজিসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচলে পড়তে হচ্ছে দুর্ঘটনার কবলে। ইট-পাথর-খোয়া উঠে গিয়ে কোথাও কোথাও নেই পায়ে হেঁটে যাওয়ার মতো অবস্থাও।
এলাকাবাসীর অভিযোগ এই সড়কে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি বহুদিন। তবে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আবু জাহের নিজস্ব অর্থায়ণে বিভিন্ন সময়ে সাময়িক সংস্কার করলেও বৃষ্টির কারণে খানাখন্দ হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে দুই জেলার এই সংযোগ সড়কের হরিমঙ্গল-বাগড়া অংশটি। এ নিয়ে এলাকাবাসীসহ এই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। এলাকাবাসীরা জানান, বেহাল এই সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিদিনই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। সড়ক যেন হয়ে উঠেছে মৃত্যুফাঁদ। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই চলাচল করে রিকশা, অটোরিকশা সিএনজিসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা এক সিএনজি যাত্রী বলেন, বলার অপেক্ষা রাখে না- এই সড়কে চলাচলকারী অসুস্থ ব্যক্তিদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। এতে বিশেষ করে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল চালকদের পড়তে হয় দুর্ঘটনার কবলে। তিনি জানান, পার্শ্ববর্তী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলার অনেক মানুষ প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কুমিল্লা যাতায়াত করে। আর ভোগ করতে হয় এই দুর্ভোগ।
এলাকাবাসীসহ এই সড়কে যাতায়াতকারীদের প্রাণের দাবী,যত দ্রুত সম্ভব এই রাস্তাটির সংস্কার করা হোক।