কুমিল্লার প্রথম জয়
এবারের বিপিএলে শুরুটা যাচ্ছতাই হয়েছে সিলেটের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি হয়েছে মোসাদ্দেকের দল।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় মিরপুর শেরেবাংলায় বিপিএলের তৃতীয় ম্যাচে কুমিল্লার মুখোমুখি হয় সিলেট।
টসে হেরে ব্যাটিং নিয়ে কুমিল্লার বোলারদের তোপে রীতিমতো ধরাশায়ী হয়ে মাত্র ৯৬ রান লক্ষ্য ছুড়তে সক্ষম হয় সিলেট।
মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য কুমিল্লার ব্যাটারতের নাকানিচুবানি খাইয়ে ছেড়েছে সিলেটের বোলাররা।
তবে পরাজয় ঠেকাতে পারেনি। ৮ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছুতে সক্ষম হয়েছে কুমিল্লা।
এক কথায় বলতে গেলে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল ইমরুল কায়েসের।
কুমিল্লার প্রোটিয়া তারকা ফাফ ডু প্লেসির বিপিএল শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৩ রানে মাথায় ব্যক্তিগত ২ রান করে সোহাগ গাজীর হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফাফ। আরেক ওপেনার ডেলপোর্ট গাজীর দ্বিতীয় শিকার হন ১৬ রান করে।
তিনে নামা মুমিনুল হক ২০ বল খেলে ১৫ রান করেন আউট হন মোসাদ্দেক হোসেনকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে। মুক্তার আলির হাতে ক্যাচে পরিণত হন।
ইমরুল কায়েস ১০ ও আরিফুল হক ৪ রান করে ফিরে গেলে দলীয় ৫৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা শিবিরে।
পরে করিম জানাত এবং নাহিদুলের ২৭ রানের পার্টনারশিপে দল শঙ্কামুক্ত হয়। করিম করেন ১৮ রান। ১৬ বলে সমান ১৬ রান করে ফিরে যান নাহিদুলেও।
শেষ দিকে নাজমুল ইসলাম অপুর বলে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে শহিদুলকে আউট করেন রবি বোপারা। এতে ৮৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কুমিল্লা।
শেষদিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৩৬ বলে ১৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ২ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা।
সিলেটের হয়ে অপু ৩, মোসাদ্দেক এবং সোহাগ গাজী ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ১৯.১ ওভারে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৯৬ রান জমা করে অলআউট হয়ে যায় মোসাদ্দেকের সিলেট।
দলের পক্ষে দুই অংকের ঘরে পৌঁছুতে পেরেছেন মাত্র ৩ জন। সর্বোচ্চ রান এসেছে ওপেনার কলিন ইনগ্রামের ব্যাট থেকে, ২১ বলে ২০ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান মিস্টার এক্ট্রার, ১৯ । তৃতীয় সর্বোচ্চ রান রবি বোপারার, মাত্র ১৭। এছাড়া সোহাগ গাজী করেছেন ১৯ বলে ১২ রান।
আর বাকি সবাই সিঙ্গেল ডিজিটেই ফিরেছেন সাজঘরে। অধিনায়ক মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৬ বলে ৩ রান। অভিজ্ঞ অলোক কাপালি করেছেন ১৪ বলে ৬ রান।
ওপেন করতে নেমে এনামুল হক বিজয় ফেরেন দলীয় ৭ রানে। ব্যক্তিগত ৩ রান করে নাহিদুলের বলে আউট হন তিনি।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের আলো ছাড়ানো মোহাম্মদ মিঠুন। অফ স্পিনার নাহিদুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
কুমিল্লার হয়ে সফল বোলার তিনজন – নাহিদুল, করিম জানাত এবং মুস্তাফিজ সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।