ফাইনালে নিজেদের বাড়তি সুবিধা দেখছেন কুমিল্লা কোচ
দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আরেকবার চূড়ার কাছে দল। অপেক্ষা এখন কেবল আরেকটি ধাপ ওপরে ওঠার। তাহলেই আবার চ্যাম্পিয়ন! সেই শেষ পদক্ষেপেও তাদের পা হড়কাবে না বলেই মনে করেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। যে দলের অনেকের এই অভিজ্ঞতা আছে আগেও, তারা শেষ চ্যালেঞ্জও জয় করবেন বলে বিশ্বাস কুমিল্লা কোচের।
বিপিএলের সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আরও একবার পৌঁছে গেছে শিরোপার মঞ্চে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে রোববার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে এবারের আসরে সবার আগে তারা নিশ্চিত করেছে ফাইনাল। আগের তিন ট্রফির সঙ্গে আরেকটি যোগ করতে তারা মাঠে নামবে বৃহস্পতিবারের ফাইনালে।
ফাইনাল মানে শুধু ক্রিকেটীয় স্কিল নয়, মানসিকতা আর স্নায়ুর চাপের লড়াইও। সেখানেই নিজেদের বাড়তি সুবিধা দেখছেন কোচ সালাউদ্দিন। গত আসরের স্নায়ুক্ষয়ী ফাইনালে ফরচুন বরিশালের সঙ্গে শেষ বলের লড়াইয়ে ১ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কুমিল্লা। সেই দলের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস এবারও অধিনায়ক।
সেই দল থেকে সুনিল নারাইন, মইন আলি, লিটন কুমার দাস, মুস্তাফিজুর রহমান, তানভির ইসলাম আছেন এবারও। এছাড়াও মোসাদ্দেক হোসেন ভিন্ন দলের হয়ে ফাইনাল খেলেছেন আগে। আন্দ্রে রাসেলের তো ফাইনাল খেলা ও জয়ের অভিজ্ঞতা আছে অনেক।
ক্রিকেটারদের এই অভিজ্ঞতাই এবারের ফাইনালে কুমিল্লাকে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করেন কোচ সালাউদ্দিন।
“আমি সব সময় মনে করি, যখন সেমি-ফাইনাল, ফাইনাল খেলা হয়, এটা পুরোটাই স্নায়ুর খেলা। আমরা যাদেরকে নিয়েছি, তাদের সবারই প্রায় ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। এছাড়া স্থানীয় যাদেরকে নিয়েছি, তাদেরও বেশির ভাগেরই ফাইনাল খেলার অভ্যাস আছে। কারণ, ফাইনাল ম্যাচ, আপনি যত যা-ই বলেন, টেনশন হবেই। আমার মনে হয়, এখানে একটু বাড়তি সুবিধা থাকতে পারে, যেহেতু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অনেক বেশি আছে।”
“গতবারের ফাইনাল যদি দেখেন, ম্যাচটা আমরা প্রায় হেরেই গিয়েছিলাম। স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পেরেছিলাম বলেই হয়তো জিততে পেরেছিলাম। তো এটাই মনে করি যে ফাইনাল সবসময়ই স্নায়ুর খেলা। এখানে যারা স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারবে, তারাই জিতবে। এটা আমাদের বাড়তি সুবিধা হতে পারে।”
কুমিল্লার ফাইনাল প্রতিপক্ষ ঠিক হবে মঙ্গলবার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্স। কুমিল্লা কোচ অবশ্য সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে নিজেদের নিয়েই ভাবছেন।
“সত্যি বলতে, যারা টপ ফোরে উঠেছে, সবাই ভালো দল। পুরো টুর্নামেন্টে সবাই ভালো খেলে এসেছে। প্রতিপক্ষ যে-ই আসুক, আমার সেভাবে পরিকল্পনা করতে হবে। আমি বলতে পারব না কাকে চাচ্ছি। যে আসবে, তার সঙ্গেই ভালো খেলতে হবে ওইদিন। ওইদিন যদি ভালো খেলি, তাহলে হয়তো ম্যাচ জিততে পারব। নয়তো জিততে পারব না।”