ফাইনালে কুমিল্লা, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি সাকিব-তামিম
রংপুর রাইডার্সের বাঁধা টপকে প্রথম সুযোগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দশম আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। হ্যাট্টিক শিরোপা জয়ের লক্ষে ফাইনালের মঞ্চে সবার আগে পৌঁছাল লিটন দাসের দল। লিটন-হৃদয় মিলে ১৪৩ রানের জুটি গড়ে রংপুরের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন। তাওহীদ হৃদয় ৬৪ রানে ফিরলেও লিটন দলকে জয়ের খুব কাছে রেখে প্যাভিলিয়নে যান, তখন তার নামের পাশে ৮৩ রান। ৯ বল বাকি থাকতে কুমিল্লার ৬ উইকেটের জয়।
বিপিএলের ফাইনালে কখনও হারেনি কুমিল্লা। রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে এবার হ্যাট্টিক শিরোপার দ্বারপ্রান্তে দলটি। টানা তৃতীয় ও সবমিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো ফাইনালের মঞ্চে কুমিল্লা। প্রথম কোয়ালিফায়ার হারলেও ফাইনালের জন্য আরও একবার সুযোগ পাবে রংপুর রাইডার্স। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সাকিবদের প্রতিপক্ষ তামিমের ফরচুন বরিশাল।
১৮৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই সুনীল নারাইনকে হারায় কুমিল্লা। ফজলহক ফারুকির বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। উইকেটের পেছনে থাকা সোহানের আরও একবার বাজপাখি হওয়া। এরপর অবশ্য পালটা আক্রমণ চালায় কুমিল্লা। তিনে নামা তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ম্যাচ জয়ের পথটা সহজ করে আসেন লিটন। মাত্র ৮৯ বল খেলে ১৪৩ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন।
তাওহীদ হৃদয়ের ৬৪ রানের ইনিংস আসে কেবল ৪৩ বল থেকে। ৪ ছক্কা ও ৫ চারে দাপট দেখিয়ে সাজান এই ইনিংস। অপরদিকে লিটন দাস পেয়েছেন এবারের আসরে নিজের তৃতীয় ফিফটির দেখা। ব্যক্তিগত ৮৩ রানে লিটন দাস যখন প্যাভিলিয়নে ফেরত যান, তার দল তখন জয় থেকে ১৩ রান দূরে। এরপর মইন আলি আর আন্দ্রে রাসেল মিলে ৯ বল বাকি থাকতেই কুমিল্লার ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ফাইনালে পৌঁছে দেন।
২০২৪ বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে তারা রংপুর রাইডার্সকে আটকে দেয় ১৮৫ রানে। জিমি নিশামের ব্যাটে আরও একবার রংপুর রাইডার্সের রক্ষা। ৩১ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে নিশাম রূপ নেন আরও বিধ্বংসী। শেষ বেলায় নিশামকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান করেন দ্রুত ৩০ রান। এদিন লজ্জার এক রেকর্ড গড়েন কুমিল্লার পেসার মুশফিক হাসান, ৪ ওভারে খরচ করেন ৭২। যা বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান খরুচে স্পেল। নিশাম ৯৭ রানের হার-না-মানা ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। ৪৯ বলের এই ইনিংসে ছক্কার সংখ্যা ৭, বাউন্ডারি হাঁকান ৮টি।
আগের ম্যাচে ৪২ বলে অপরাজিত থাকেন ৬৯ রানের ইনিংসে। আজ কোয়ালিফায়ারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও জিমি নিশামের জ্বলে ওঠা। একা হাতে শাসন করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শক্তিশালী বোলিং লাইন-আপকে। নিশাম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৯৭ রানে। তবে বল হাতে এদিন কুমিল্লার জার্সিতে সবচেয়ে দুর্দান্ত ছিলেন সুনীল নারাইন, ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় নেন এক উইকেট। অন্যদিকে, পেসার মুশফিক হাসান ৪ ওভারে খরচ করেছেন মোট ৭২ রান। ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে নিশামের সামনে ২৮ রান খরচ করেন মুশফিক হাসান।