কুমিল্লা বন্ধুকযুদ্ধে আরো ২ জন নিহত
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লার ২ উপজেলায় পুলিশের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ২ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সদর দক্ষিণ উপজেলায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের নাম নুরু (৫৫)। সে একজন মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫০ কেজি গাঁজা, একটি রিভলভার ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।
সোমবার (২৮ মে) রাত ২ টা ৫০ মিনিটে উপজেলার গলিয়ারা-লক্ষ্নীপুর গ্রামের মাঝখানে এ বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত নুরু জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে একটি অস্ত্র ও ১০টি মাদক মামলা।
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম কুমিল্লার বার্তা ডটকমকে জানায়, মাদকের চালান যাচ্ছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের টিম গলিয়ারা-লক্ষ্নীপুর গ্রামের সীমান্তে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের উপর হামলা করে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশ আত্নরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করলে নুরু গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
অপরদিকে দেবিদ্বার উপজেলায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এনামুল হক দোলন (৪০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ কেজি গাঁজা, ১০০ পিস ইয়াবা, একটি পাইপগান, একটি কার্তুজ ও কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় এসআই যুবরাজ বিশ্বাস ও দুই কন্সটেবল আহত হয়েছে।
সোমবার (২৮ মে) রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে উপজেলার পশ্চিম জিংলাবাড়ি এলাকায় এ বন্ধুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত এনামুল হক দোলন জেলার দেবিদ্বার উপজেলার জিংলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ১২টি মাদক মামলা ।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, মাদকের চালান যাচ্ছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের টিম পশ্চিম জিংলাবাড়ি এলাকায় গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের উপর হামলা করে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করলে এনামুল হক দোলন গুলিবিদ্ধ হয়।
এ সময় একজন এসআইসহ ৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত অবস্থায় দোলনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।