কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
আলা উদ্দিন আজাদঃ কোচিং সেন্টার কোনদিনই ক্লাসের বিকল্প হতে পারেনা।একজন শিক্ষার্থী যদি নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকে এবং পাঠদানে মনোযোগী হয়,সেই শিক্ষার্থীকে কোন প্রাইভেট ক্লাস এবং কোচিং এ যেতে হবেনা।তার ক্লাসে পড়া আদায় হয়ে যাবে।কারণ ভিক্টোরিয়া কলেজে সকল শিক্ষকরা বিসিএস পাশ করে এখানে পড়াতে এসেছেন এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা সকল শিক্ষক মেধাবী।তাই কোচিং এ গিয়ে ক্লাসের পড়া শেষ করা কোন শিক্ষার্থীর পক্ষে সম্ভবনা।গতকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ একাদশ প্রথম সাময়িক পরর্বতী অভিভাবক সমাবেশে কলেজ অধ্যক্ষ রতন কুমার সাহা বলেন।
তিনি আরো বলেন তাই আপনারা যারা অভিভাবক রয়েছেন আপনাদের সন্তানদের ক্লাসমুখী করতে হবে,তবেই তাদের সফলতা নিশ্চিত হবে।শিক্ষার্থীদের ক্লাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমার শক্তিশালী সফটওয়ার দ্বারা ই-এটেন্ডডেন্স সিস্টেম চালু করেছি একটি বলে দিবে আপনার সন্তান কয়টা ক্লাস করছে।কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকে তার সফলতা নিশ্চিত।শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের মাসিক পরীক্ষা নেওয়া হবে এতে করে তাদের মেধা যাচাই করা সম্ভব হবে।আমার প্রতি ২৫ জন শিক্ষার্থীদের মনিটরিং এর জন্যে একজন শিক্ষক এবং ৮ শিক্ষককে আরো একজন সিনিয়র শিক্ষক মনিটরিং কবরে।এতে শিক্ষার্থীদের কোন দূর্বলতা থাকলে তা সনাক্ত করা যাবে এবং তাদের সঠিক পাঠদানের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাবে।শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মনোযোগ নষ্ট করে স্মার্ট ফোন তাই কোন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেনা।আপনারা আপনাদের সন্তানদের সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দিবেন তবেই তারা মানুষের মতো মানুষ হয়ে রাষ্ট্রগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কলেজ অধ্যক্ষ রতন কুমার সাহার সভাপতিত্বে, শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক নিলুফার সুলতানার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো আবু তাহের,কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক প্রফেসর বিজয় কৃষ্ণ রায়,হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হাবীব আহসান উল্যাহ, একাদশ প্রথম সাময়িক পরীক্ষার আহবায়ক মনিরুজ্জামান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তপন ভট্টাচার্য,শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক রদরুন্নাহার প্রমুখ।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক্তার মোসলেহ উদ্দিন বলেন শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় মনোযোগ আনতে শিক্ষকদের বিশেষ কিছু টেকনিক ব্যবহার করতে হবে।তবে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট করার অনেক গুলো মাধ্যমের একটি হলো স্মার্ট ফোন যেটি হাতে থাকলে তাদের মনোযোগের বিগ্ন ঘটে, কারণ ক্লাসে যখন শিক্ষক পড়ান একটি অয়েব সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থীর কান থেকে ব্রইনে যায় যদি তাদের মন পাঠদানে থাকে তাহলে ব্রেইন সেটি ধারণ করতে পারেনা।তিনি আরো বলেন শিক্ষার্থীদের সন্ধার পর থেকে রাত ১১ পর্যন্ত মনোযোগের সাথে পড়াশুনা করার পরার্মশ দেন এই সময় অভিভাবক যাতে খেয়াল রাখেন এই সময় সন্তানরা যাতে স্মার্ট ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকে।তবেই শিক্ষার্থীরা গুনগত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে।এর পূর্বে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বিভিন্ন ও সম্ভবনার দিকগুলো তুলে ধরেন এবং কলেজ প্রসাশনের সকল কার্যকরী পদক্ষেপের সাথে একাত্মতা পোষন করেন।