কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে বিএনপিতে চার ভাইয়ের মনোনয়ন সংগ্রহ
মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতাঃ এরই মধ্যে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে নির্বাচন নিয়ে জমে উঠেছে রাজনৈতিক মাঠ। এ আসনটি বিএনপির দুর্গ হওয়ায় ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী ডা: ওয়ালী আহাম্মদের পর আর জয়ের মুখ দেখেনি আওয়ামীলীগ। এ আসনে বিএনপি’র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জাল হোসাইন কায়কোবাদ বিএনপি থেকে মনোনয়নপত্র ক্রয় করলেও তারই তিন ভাই কনস্যুলার কর্পস ইন বাংলাদেশ (সিসিবি)’র সভাপতি ও ইয়েমেনের আনারারি কনসুল জেনারেল কেএম মজিবুল হক, টোটাল গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক জুন্নুন বসরি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য কাজী শাহ্ আরফিনও বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।
তবে একই আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, তার স্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. শাহিদা রফিক, ঢাকা দক্ষিন শ্রমীক দলের সাধারন সম্পাদক কাজী আমীর খসরু, এড. নূর এ আলম ও ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ মোট ৯ জন।
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোল্লা মজিবুল হক বলেন, কাজী শাহ্ধসঢ়; মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের আকাশ ছোয়া জনপ্রিয়তার কারনে ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮সহ মোট পাচঁ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কাজী শাহ মোফাজ্জাল হোসাইন কায়কোবাদের প্রতিটি ভাইয়ের সাথে কেন্দ্রিয় বিএনপির রাজনৈতিক সর্ম্পক রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই নিজেকে যোগ্য মনে করেই মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। আর কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তার সাজা হওয়ায় কারনে নির্বাচন করতে না পাররেন তাহলে তার ভাইদের মধ্যে যে কেউ বিএনপির মনোনয়ন পাবেন। সে থেকেই তারা বিএনপির মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এ আসন থেকে আরো অনেকেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু উপজেলা বিএনপি মনে করে কায়কোবাদের পরিবারের মুরাদনগর বিএনপি ও সকল জনগনের কাছে গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। তাই পরিবারে মধ্যে যে কাউকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হলে প্রতি বারের মত এবারও এ আসনটিতে বিএনপি বিজয়ী হবে।