বুড়িচংয়ে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, বাড়িঘর-দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ বুড়িচং উপজেলার বারেশ^র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রোববার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীকের লোকজনের হামলায় প্রিজাইডিং অফিসার ও এক এ.এস.আই. সহ ১০জন আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় সোমবার দুপুরে হামলা চালিয়ে আনারস প্রতীকের ১০-১৫ জন শসস্ত্র লোকজনেরা প্রতিপক্ষের দোকানপাঠ, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে বুড়িচং থানার এস.আই. মোয়াজ্জেম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সূত্র জানান রোববার বুড়িচং উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চলাকালীন সময় ভোটগ্রহনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন প্রিজাইডিং অফিসার পূর্ণমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসাঃ শেফালি আক্তার, এ.এস.আই. ও স্থানীয় হাছানসহ ৮-১০ জন আহত হয়।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটায় সোমবার দুপুরে বারেশর গ্রামে। ওই গ্রামের আনারস প্রতীকের সমর্থক হাজী জজু মিয়ার ছেলে মোঃ মানিক মিয়ার (৩০) নেতৃত্বে ১০-১৫ জন দেশীয় অস্ত্র, দা, ছেনি ও হকি নিয়ে একই গ্রামের নৌকা প্রতীকের সমর্থক আব্দুল ওহাবের দোকান ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং এসময় অপর সমর্থক আবুল হোসেন জুয়েলের বাড়িতেও হুমকি ধমকি দিয়ে আসে।
ক্ষতিগ্রস্থ অবসর আর্মির সৈনিক আব্দুল ওহাব জানান নির্বাচনের কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আনারস প্রতীকের সমর্থক মানিক মিয়ার নেতৃত্বে আমার দোকাপাট, বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। ঘরের স্টীলের আলমারি ভাংচুর করে স্বর্ণালংকার টাকা লুট করে। এসময় আমার বৃদ্ধ মা, মেয়ে ও স্ত্রীদের লাি ত করে। তাদেরকে মানিক মিয়া অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয়-ভীতি দেখায়। হামলাকারীরা বাড়ি থেকে নগদ ২ লক্ষ টাকা ৫ ভড়ি স্বর্ণ দোকান থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় আব্দুল ওহাবকে হামলাকারীরা খুজতে থাকে। তিনি জানান বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেচেঁ যান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মানিক মিয়া জানান আমি ঘটনার সাথে জড়িত না। আমাকে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যাভাবে এই ঘটনার সাথে জড়ানো হয়েছে। নির্বাচনের দিন নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের হামলায় আনারস প্রতীকের হাছান, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়। নৌকা প্রতীকের সমর্থক আব্দুল ওহাব ও আবুল হোসেন জুয়েল আমাকে এই ঘটনার সাথে মিথ্যাভাবে জড়িয়েছে। ওহাব ও তার ছেলের বিরুদ্ধে আনারসের মিছিলে হামলা ও অফিস ভাংচুরে অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে।
খবর পেয়ে বুড়িচং থানার এস.আই. মোয়াজ্জেম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাংচুরের দৃশ্য দেখা গেছে। এ পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসে নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।